এমসি হোস্টেলে তরুণীকে ধর্ষণ: মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের রিট
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ কলেজের (এমসি কলেজ) ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজির দুটি মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করতে হাইকোর্টে রিট করেছেন বাদী। সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট দায়ের করা হয়।
বর্তমানে সিলেট বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর আগে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ছিনতাই-চাঁদাবাজি মামলাটি ধর্ষণ মামলার পাশাপাশি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে উভয় মামলার বিচারে অগ্রগতি না হওয়ায় এ রিট করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের ১৭ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হয়। চলতি বছরের ১১ মে চাঁদাবাজি মামলার বিচার শুরু হয়। এখন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে, যুবতী তার স্বামীর সাথে বাইরে যাওয়ার পরে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হয়। পরে তার স্বামী বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানায় ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির দুটি মামলা করেন। আলোচিত এ মামলায় গ্রেপ্তার আট ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা সবাই বর্তমানে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।