এফএও ডিজির সাথে বৈঠক।আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থাকে (এফএও) প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটি করা হলে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করা যাবে। রোববার গণভবনে মহাপরিচালক (ডিজি) কু ডংইউকের সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন।
এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতাকে উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এফএও মহাপরিচালককে ডিজিটালাইজেশন এবং উদ্ভাবন প্রকল্পের জন্য একটি সমন্বিত তহবিল গঠনের পরামর্শ দেন এবং বলেন, বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে অবদান রাখতে প্রস্তুত।
মহাপরিচালক চলতি বছরের ৩-৭ অক্টোবর ইতালির রোমে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব খাদ্য ফোরামের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য তার সংস্থার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
চাষাবাদের উপযুক্ত জমি না থাকায় সিভিএফ (ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম) দেশগুলোর প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মহাপরিচালককে তাদের সমস্যাগুলি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উপায়ে সমাধানের পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশে রূপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন যেখানে মানুষ উন্নত জীবন পাবে। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছিল। মাত্র দুই বছর পর তার সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে।
এফএও মহাপরিচালক ঢাকায় ৩৬তম এফএও আঞ্চলিক সম্মেলনের সফল আয়োজনে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি খাদ্যশস্য, শাকসবজি ও প্রাণিজ প্রোটিনসহ সব ধরনের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি শেখ হাসিনার উন্নয়ন কৌশলের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়নে তার অগ্রণী ভূমিকার প্রশংসা করেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আহমেদ কায়কাউস, কৃষি সচিব সাইদুল ইসলাম এবং রোমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান এবং প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সারওয়ার-ই-আলম সরকার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।