• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    এডিবি রিপোর্ট।করোনায় দুই বছর পিছিয়েছে এশিয়া

    করোনাভাইরাস মহামারীজনিত কারণে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো অন্তত দুই বছর পিছিয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলের অনেক দেশের জন্য দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার কাজটি আগের চেয়ে আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

    এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। বুধবার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান সূচক নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

    এডিবি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার আগে আশা করা হয়েছিল যে ২০২০ সালে এই অঞ্চলে চরম দারিদ্র্যের হার, অর্থাৎ যারা দৈনিক ১.৯ ডলারের কম আয় করে, তাদের হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে যাবে। কিন্তু বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে করোনার নেতিবাচক প্রভাবে চরম দরিদ্ররা কমেনি বরং বেড়েছে ৫ শতাংশ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৩.৮ শতাংশে। এ বছরও তা প্রায় ৩ শতাংশ হারে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ২০২১ সালে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলির অন্তত ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে ছিল। এই অঞ্চলের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অর্ধেক এখনও প্রাক-করোনাভাইরাস স্তরে ফিরে আসতে পারেনি। ২০২১ সালে, কর্মঘণ্টার সংখ্যা প্রাক-করোনা সময়ের তুলনায় ৩.৬ শতাংশ কম ছিল। এডিবির প্রতিবেদনে শিক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক খাতে করোনার প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।

    এডিবি জানিয়েছে, নতুন ধরনের করোনা আবির্ভূত হয়েছে। এর পাশাপাশি ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নানা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফলে করোনার কারণে অর্থনীতি ও সমাজের যে ক্ষতি হয়েছে তা থেকে পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

    বাংলাদেশের বিষয়ে এডিবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ এশিয়ার কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি যারা করোনার সময়েও ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে করোনার কারণে বন্দরে পণ্য আসা কমে যাওয়া, পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া, শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই অঞ্চলের নির্বাচিত ৩৩টি দেশের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সীদের বিয়ের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।

    মন্তব্য করুন