• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    এক ভোট পেয়ে  তিনি বুঝলেন ‘কেউ কথা রাখেনি’

    অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়ান গোলাম রসুল। ভেবেছেন নির্বাচিত হয়ে এলাকার জন্য কাজ করবেন। প্রতিবেশী ও ভোটাররাও মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে উৎসাহ ও আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন যত এগিয়েছে, ভোটারদের উৎসাহ ও আশ্বাস ততই ক্ষীণ হতে থাকে। নির্বাচনে তিনি কোনো খরচ বহন করতে পারেননি। তাই ভোটাররা অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে মেতে উঠে। শেষ পর্যন্ত কেউ কথা রাখেনি। নির্বাচনের ফলাফলে তিনি পেয়েছেন মাত্র একটি ভোট।

    এই শেষ নয়। তিনি নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর পরিবারের সদস্যরাও তার ওপর ক্ষুব্ধ হন। স্ত্রী-সন্তানদের ক্ষোভের প্রমাণও পাওয়া গেছে ভোটের ফলাফলে। গোলাম রসুল দাবি করেন, তার স্ত্রী ও সন্তানরা তাকে ভোট দেয়নি। আর নির্বাচনের আগের দিন নির্বাচনে নিজের শোচনীয় অবস্থার কথা বিবেচনা করে অন্যদের ভোটও দিয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নে। রোববার শলুয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হয়েছে। ওই ইউনিয়নের সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন গোলাম রসুল।

    রোববার সন্ধ্যায় শলুয়া ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসার। ফুটবল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন গোলাম রসুল। তিনি ভোট দেননি বলেও দাবি করেন।

    তিনি আরও দাবি করেন, পরিবারে তার স্ত্রী-সন্তানের ভোট থাকলেও তিনি তাদের কাছ থেকে কোনো ভোট পাননি। তবে কে তাকে একমাত্র ভোট দিয়েছেন তা তিনি জানেন না।

    পরিবারের সদস্যরা ভোট পাননি বলে আক্ষেপ করে গোলাম রসুল বলেন, গ্রামবাসী ভোট দেয়নি, এটা তেমন কিছু নয়। কিন্তু পরিবারের কেউ তাকে ভোট দেননি।

    তিনি জানান, প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীর আশ্বাসে তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু পরে কেউর সমর্থন পাননি। সবাই ব্যস্ত অন্য প্রার্থী নিয়ে। আমি টাকা খরচ করিনি বলে কেউ আমাকে সমর্থন করেনি। ভোটে দাঁড়ানোয় ক্ষুব্ধ স্ত্রী ও ছেলে। এমতাবস্থায় ভোটের দিন জয়ের আশা ছেড়ে দিয়ে অন্য কাউকে ভোট দিই।

    শলুয়া ডিগ্রি কলেজ ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার বজলুর রহমান জানান, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফুটবল প্রতীকে গোলাম রসুল পেয়েছেন একটি ভোট। আশরাফ আলী মোরগ প্রতীক নিয়ে ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

    মন্তব্য করুন