অর্থনীতি

এক বছরে ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে ১৪০৭ জন

ব্যাংকের চাকরিতে নারীদের আগ্রহ বাড়ছে। ফলে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ব্যাংকিং খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৪০৭ জন। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের মোট কর্মশক্তির প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ নারী। এক সময় এই হার ছিল এক শতাংশেরও কম। দেশীয় ব্যাংকের তুলনায় বিদেশী ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। ব্যাংকিং খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জেন্ডার সমতা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব ব্যাংকে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর করা হয়েছে। আবার এই ছুটির কারণে কাউকে পদোন্নতি না করার নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। ফলে ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট কর্মচারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৬৯৬ জন। এর মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৪৬, যা মোট শ্রমশক্তির ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এক বছর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার ১০২ জন। তাদের মধ্যে ৩১ হাজার ৯৩৯ জন নারী শ্রমিক। অর্থাৎ ওই বছর শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট কর্মচারীর ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ ছিল নারী। আগের বছরগুলোতে নারী

শ্রমিকের হার ছিল আরও কম, ১৬.০৩ শতাংশে।

বর্তমানে বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোতে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি। তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী কাজ করছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন সর্বোচ্চ ২২ হাজার ২৪৮ জন নারী। তবে বেসরকারি খাতে নারীদের অংশগ্রহণের হার পুরুষদের তুলনায় ১৬.৩২ শতাংশ। তবে বিদেশী ব্যাংকে মাত্র ৯৮১ জন নারী কাজ করলেও পুরুষের অনুপাতে এই হার সর্বোচ্চ ২৪.১৮ শতাংশ। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ নারী এবং বিশেষায়িত ব্যাংকে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ নারী কর্মরত।

ব্যাংকিং খাতে এখনও নেতৃত্ব পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে কম। তবে প্রাথমিক বা দীক্ষা পর্যায়ে অংশগ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে কর্মরত নারীর হার ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ১৬ শতাংশ নারী শ্রমিক মধ্যবর্তী পর্যায়ে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই হার মাত্র ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এছাড়া ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদে নারীদের অংশগ্রহণ ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।