এক গ্লাস সবজির জুসেই হার্টের সমস্যা দূর করবে
শুধু বয়স্করা হৃদরোগে আক্রান্ত হন তা কিন্তু নয়।অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে তরুণদের মধ্যে হৃদরোগের হারও বাড়ছে। এবং সবাই জানে, হার্ট অ্যাটাক হতে সাধারণত বেশি সময় লাগে না। এছাড়া কার হার্ট অ্যাটাক হবে তা অনেক সময় আগে থেকে বোঝা যায় না।
বেঁচে থাকতে হলে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। একটি সুস্থ এবং সুস্থ জীবন পেতে একজনকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যাইহোক, প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরে একটি সবজি আছে, যার রস হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দেয়। আর তা হলো টমেটো।
টমেটো বাঙালির অন্যতম প্রিয় সবজি। টমেটো প্রায় সব খাবারেই ব্যবহার করা যায়। টমেটোর ব্যবহার শুধু খাবারে রঙ সুন্দর করে না বরং খাবারে পুষ্টি যোগ করে।
তবে রান্নায় সবজি হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি যদি আপনি টমেটোর রস পান করতে পারেন, তাহলে এই সবজি থেকে বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব। জার্নাল অফ ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশনের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে টমেটো হৃদরোগকে ব্যাপকভাবে কমাতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি লবণ ছাড়া টমেটোর রস খান, তাহলে আরও ভালো উপকার পাওয়া সম্ভব। টমেটোর রস উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
জাপানের টোকিও মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন যে টমেটোর রস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সক্ষম। এতে রয়েছে ফাইবার যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র টমেটোর রস পান করতে পারেন। অথবা আপনি অন্যান্য সবজির সাথে টমেটো মিশিয়ে রস দিয়ে পান করতে পারেন।
কীভাবে টমেটোর রস তৈরি করবেন: কয়েকটি পাকা টমেটো এবং গাজর নিন। ভালো করে ধুয়ে টমেটো এবং গাজর কেটে নিন। তারপর এই দুইটি সবজি পানিতে একটি জুসার বা ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিন। স্বাদে একটু কালো মরিচ দিতে পারেন। যাইহোক, টমেটোর রস তৈরি করুন এবং অবিলম্বে এটি খান। ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন না।