• বাংলা
  • English
  • শিক্ষা

    এক আবেদনে ১৯ সেবা পাবে  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফি জমা দিয়ে সার্টিফিকেট, মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট, অ্যাডমিট কার্ডসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত ১৯টি সেবা নিতে পারবেন। একই সঙ্গে ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, আবেদনের বিষয় প্রস্তুত হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে মেসেজ চলে যাবে।

    মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থীকে একই আবেদনে ১৯টি সেবা নিতে হলে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd) লগ ইন করতে হবে। তারপর সার্ভিস মেনুতে ক্লিক করুন। এরপর স্টুডেন্ট লগইনে যান এবং পরীক্ষা সার্ভিস মেনুতে যান। কম্বাইন্ড সার্ভিস মেনু এবং ডকুমেন্টস কারেকশন মেনুতে ক্লিক করে ৬টি সেবা একসাথে গ্রহণ করা যাবে।

    সেবাগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যাডমিট কার্ড, অস্থায়ী শংসাপত্র, মার্কশিট, মূল শংসাপত্র, প্রতিলিপি এবং প্রতিলিপি (দ্বিতীয় সময়)। ডকুমেন্টস ডুপ্লিকেট মেনুতে ক্লিক করে চারটি সেবা অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে- অ্যাডমিট কার্ড, অস্থায়ী শংসাপত্র, মার্কশিট এবং মূল শংসাপত্র।

    একইভাবে, ইমপ্রুভমেন্ট কপি মেনুতে ক্লিক করে দুটি সেবা নেওয়া যেতে পারে। সেটি হলো- মার্কশিট ও সার্টিফিকেট। অনুবাদ মেনুতে ক্লিক করে তিনটি সেবা নেওয়া যাবে। সেগুলো হল অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট এবং অস্থায়ী সার্টিফিকেট।

    ফ্রেশ কপি মেনুতে ক্লিক করে চারটি সেবা পাওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে- অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট, অস্থায়ী শংসাপত্র এবং মূল শংসাপত্র। একজন শিক্ষার্থী একসাথে এসব সেবা নিতে পারে। আবার, আপনি আগের মতো আলাদাভাবে সেবাগুলি গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু একসঙ্গে আবেদন করলে টাকা ও সময় দুটোই বাঁচবে।

    এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বৈঠকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা একটি আবেদনেই ঘরে বসে পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবা পেতে পারে। এ জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। দ্রুত এবং সস্তা সেবা প্রদানের জন্য নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা স্বল্প সময়ে ঘরে বসেই সেবা পাবে।