একুশে পদক পাচ্ছেন ১৭ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী ফুটবল দলসহ ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে একুশে পদক প্রদান করেন।
পদকপ্রাপ্তরা প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে তাদের পদক গ্রহণ করেন। মরণোত্তর একুশে পদক বিজয়ীদের পরিবারের সদস্যরা তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে পদক গ্রহণ করেন। প্রত্যেক পদক বিজয়ীকে ৪ লাখ টাকার চেক, ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি রেপ্লিকা ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়।
এবারের একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন- চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সঙ্গীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন এবং চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা। সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), মঈদুল হাসান গবেষণায়, নিয়াজ জামান শিক্ষায়,
এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহেদী হাসান খান (টিম লিডার), রিফাত নবী (টিম মেম্বার), মোঃ তানবিন ইসলাম সিয়াম (টিম মেম্বার) ও শাবাব মুস্তাফা (টিম মেম্বার)। সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) এবং শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর)। সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং খেলাধুলায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশিদ নাম ঘোষণা করেন এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের পরিচিতি পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন ডিউটিতে থাকা অতিরিক্ত সচিব মোঃ মফিদুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর একুশে পদক দিয়ে থাকে। ১৯৭৬ সালে শুরু হওয়া এ সম্মাননা দেশের প্রখ্যাত লেখক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, ভাষাযোদ্ধা, অর্থনীতিবিদ ও সমাজসেবকদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারও একুশে পদকপ্রাপ্তদের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সরকারি ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Do Follow: greenbanglaonline24