এএফপি প্রতিবেদন।চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেন বিক্ষোভ ও সহিংসতায় চাপে থাকা বাংলাদেশের অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তবে জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভ ও তার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক চাপের মধ্যে ছিল। ফলে সে সময় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হারায়। তবে পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির ৫৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে তার ৩,৫০০টি পোশাক কারখানা থেকে। কিন্তু জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে এই শিল্পের উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরও, পোশাক কারখানার শ্রমিকদের চাকরি ও উন্নত মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। এ ধরনের প্রতিবাদ কখনো কখনো সহিংস রূপ নেয়। ৩০ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন গার্মেন্টস কর্মী নিহত ও ২০ জন আহত হন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার গত রোববার বলেন, কারখানা মালিক ও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। শ্রমিকরা রাস্তায় নামলে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। এই সেক্টরে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পরিবর্তন প্রয়োজন, অন্যথায় শান্তি স্থায়ী হতে পারে না।
এএফপি জানায়, চীনের পর বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বিশ্বের অনেক শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে তাদের পোশাক সংগ্রহ করে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে বর্তমানে শিল্পটি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। গত শনিবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে, তিনি বলেন গত আগস্ট থেকে আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং উল্লেখ করেছেন যে নিরাপত্তা বাহিনীকে অবশ্যই শিল্পকে রক্ষা করতে হবে।
খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, কারখানা রক্ষায় সেনাবাহিনী একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে এবং পোশাক হাবগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা নিয়মিত টহল দিচ্ছে। ভোক্তারা বাংলাদেশী পোশাকের প্রতি তাদের আস্থা ফিরে পেয়েছে, তবে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।