এইচ টি ইমাম আর নেই
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)। বুধবার রাত ১১৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মারা যান।
তাঁর বয়স ছিল ৮২ বছর। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এইচটি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে ঘোষণা করা হবে।
এইচটি ইমামকে ফুসফুস, কিডনি ও হার্টের অসুখসহ জেরিয়াট্রিকসহ বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দুই সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন করা ছিলেন। মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
এইচটি ইমামের জন্ম ১৯৩৯ সালে। তাঁর পিতার চাকরির কারণে তিনি শৈশব ও কৈশোরকাল বিভিন্ন জেলায় কাটিয়েছিলেন। তিনি ঢাকার কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছেন।
এইচটি ইমাম রাজশাহী কলেজ থেকে বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ করেছেন। কর্মজীবনের প্রথম দিকে তিনি রাজশাহী সরকারী কলেজে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। এরপরে তিনি পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এবং সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন।
এইচটি ইমাম পাকিস্তান সরকারে দায়িত্ব পালনকালে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি সাভারের জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। পরে তিনি যোগাযোগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব হন।
অবসর নেওয়ার পর এইচ টি ইমাম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। দলের নির্বাচন পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এইচ টি ইমাম প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হন। তিনি প্রথমে জনপ্রশাসনের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন এবং ২০১৪ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। এইচটি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম সিরাজগঞ্জের একটি আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
