উৎপাদনে যাচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ১৪টি কারখানা ।বুধবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) ১৪টি শিল্প একই সাথে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে। একই সঙ্গে আরও ২৯টি কারখানা নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রশাসনিক ভবনসহ আরও বেশ কিছু অবকাঠামো উদ্বোধন করা হবে। আগামী বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
রোববার বেজা ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সংগঠনের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এ তথ্য জানান।
রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যবসায়িক কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক। ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বেজার জেনারেল ম্যানেজার হাসান আরিফসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রশিদুল ইসলাম।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘ইজেড-২০২২’ কর্মসূচির ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে। এর আওতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে প্রথম চারটি কারখানার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। শ্রীহট্ট ইকোনমিক জোনে উদ্বোধন হতে চলেছে ডাবল গ্লেজিং কারখানা। এছাড়া বেসরকারি ইজেডে আরও ৯টি শিল্প ইউনিটের উৎপাদন শুরু হচ্ছে। এটিতে দেশের বৃহত্তম পিভিসি কারখানা রয়েছে। বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার জন্য ১৪টি কারখানায় প্রায় ৯৬ কোটি ৯৭ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। আরও ৩৩ কোটি ১২ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা যাবে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বিএসএমএসএন-এর সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক প্রশাসনিক ভবন, ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ শেখ হাসিনা সরণি, ২৩০ কেভি গ্রিড লাইন ও সাব-স্টেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীতে পানি সরবরাহের জন্য ৫০ এমএলডি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ইজেডে কোনো বিনিয়োগকারী গ্যাস-বিদ্যুতের বিষয়ে এখনো অভিযোগ করেননি। তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। বৈশ্বিক নানা কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রূপপুর ও মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে এর সমাধান হবে। এলএনজির দাম বৃদ্ধির কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও ভবিষ্যতে গ্যাস দেওয়া যাবে। এ ছাড়া বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে পানির চাহিদা মেটানো যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইজেড প্রতিষ্ঠায় খাস জমিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ১০০% সম্মতি এবং পরিকল্পিত শিল্পায়ন নিশ্চিত করে ইজেডগুলিতে শিল্পায়ন প্রতিষ্ঠা করা উচিত। ইজেড শিল্প ব্যবস্থা দুর্নীতিমুক্ত। তবে বেজা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি রোধ করা গেলে সার্বিক দুর্নীতি কমে আসবে।