উলামা-মাশায়েখ সম্মেলনের প্যান্ডেল ভেঙে দিল সিটি করপোরেশন
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্ধারিত স্থানে উলামা-মাশায়েখ সম্মেলন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার নগরীর ব্যান্ড রোডস্থ হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে তৈরি করা বিশাল প্যান্ডেল সোমবার ভেঙে ফেলা হয়।
এ ঘটনার পর নগরীর আমানতগঞ্জ মাহমুদিয়া মাদ্রাসা মাঠে সম্মেলন করতে বাধ্য হন আয়োজকরা। অনুমতি নেওয়া সত্ত্বেও প্যান্ডেল ভেঙে দেওয়ায় তাদের পাঁচ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
সম্মেলন ও ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দের মুহাদ্দিস মুফতি ইউসুফ তালভি ও মুফতি আফজাল কাইমুরিকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে। চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ। রেজাউল করিমসহ তার অনুসারীদের সম্মেলনে বিশেষ অতিথি করা হয়েছে। সম্মেলনটি ইসলামী আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চলছে। প্রতি বছর চরমোনাই পীরের অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে বরিশালে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মিজানুর রহমান আদিল জানান, গত ৩০ জানুয়ারি সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করে সম্মেলনের অনুমতি চান। এরপর মেয়র তাদের বলেন, ইমাম সমিতি আপত্তি না করলে সম্মেলন করতে পারেন। মিজানুর রহমান জানান, তারা ঈদগাহ মাঠের মালিক আশমত আলী খান ইনস্টিটিউশন (একে স্কুল) কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মাঠ ব্যবহারের লিখিত অনুমতি নিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু করেন। সোমবার দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই সিটি করপোরেশনের লোকজন এসে প্যান্ডেল অপসারণ শুরু করে। ঈদগাহ মাঠে সম্মেলন কেন হতে দেওয়া হবে না, তার কারণ জানায়নি বিসিসি।
সোমবার রাত ৮টার দিকে ঈদগাহ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বিসিসি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিশাল প্যান্ডেলের বাঁশ সরিয়ে নিচ্ছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশালের মুখপাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন টিটু বলেন, এ বিষয়ে তারা মুখ খুলবেন না। সম্মেলন শেষ হলে আমাকে জানাবেন। দলের আরেক নেতা বলেন, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ হয়তো ভেবেছেন আগামী নির্বাচনে মাহমুদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুবকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। এই ভয়ে তিনি সেখানে সম্মেলন করতে দেননি।
ঈদগাহ মাঠে সম্মেলন প্যান্ডেল ভাঙার কারণ জানতে একাধিকবার ফোন করেও বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার রোহান রিসিভ করেননি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ১নং প্যানেল মেয়র গাজী নাঈমুল ইসলাম লিটু বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।