• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    উচ্ছৃঙ্খল জীবনের কারণে সাবিনাকে হত্যা করা হয়।আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি

    শ্বাসরোধের পর সাবিনার মরদেহ একটি পুকুরের পিলারের সাথে শাড়ি দিয়ে বেঁধে পানির নিচে তলিয়ে যায়। দুদিন পর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী বাজার এলাকার একটি নির্জন পুকুর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দাঙ্গাময় জীবন যাপনের পথ বেছে নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে তাকে খুন করা হয়। আসামিদের জবানবন্দির আলোকে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ তথ্য জানিয়েছে।

    সাবিনা ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার জোকা গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে। হত্যার সাড়ে তিন বছর পর তাকে হত্যার কারণ উদঘাটন করে পিবিআই। গ্রেফতারকৃত আসামী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তুলা মিয়া হত্যার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে সকালে ভালুকার ভারাডোবা থেকে ধোবাউড়ার মোড়লবাড়ি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে তুলা মিয়াকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

    পিবিআই জানায়, সাবিনা গাজীপুরের কাপাসিয়ার জয়নারায়ণপুর গ্রামে দাদি, খালা ও চাচার সঙ্গে থাকতেন। তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। পরপর চারটি বিয়ের পর তাদের কোনোটিই টেকেনি। গভীর রাতে বাড়ি ফিরলে পরিবার তা মেনে নেয়নি। শাসন করলে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ২৫ জুন, ২০১৯ সাবিনা বাড়ি ফেরার পর তাকে মারধর করা হয়।

    পরে সাবিনা রাগান্বিত হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। খোঁজ নিয়ে শ্রীপুরের রাজাবাড়ী এলাকায় তাকে পাওয়া যায়। সেখানেই খালু সুজন ও তার সহযোগী তুলা মিয়াসহ অন্যরা সাবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় খালা ফুলেমা খাতুন সাথী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে শ্রীপুর থানা ও শিল্প পুলিশ-২ তদন্ত করে। পরে তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই। অভিযুক্ত সুজন পলাতক রয়েছে।

    পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মকছুদার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামি তুলা মিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অন্যদের নাম উল্লেখ করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

    মন্তব্য করুন