শিক্ষা

উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়: শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তার সবচেয়ে বড় সুফল আপনারা (তরুণরা) পেতে যাচ্ছেন। আপনাদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার নগরীর টাইগারপাস এলাকায় নৌবাহিনী কনভেনশন সেন্টারে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।

কর্মসূচিতে কার্যত যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্রফেসর ড. নীল আফরোজা বেগম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন। নুরুল আনোয়ার পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আসমা ইয়াসমিন এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক রাইসুল ইসমাইল।

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের মাধ্যমে একটি প্রগতিশীল সমাজ গড়ার জন্য পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানাই। আজ সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা পরিবর্তিত বাংলাদেশে তাদের ক্যারিয়ার শুরু করতে যাচ্ছে। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রস্তুত করার জন্য কাজ চলছে। আমাদের যুবকদের প্রত্যেকে যাতে একটি উপযুক্ত পেশার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে সেজন্য অনেক কাজ চলছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হল শিক্ষামূলক যাত্রার সূচনা। জ্ঞানের জন্য, স্বীকৃতির জন্য, প্রজ্ঞার জন্য ক্ষুধার্ত হওয়া আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উপায় খুঁজতে থাকুন এবং সেখানেই আপনি আরও বেশি অর্জন করবেন। নিজেকে ক্রমাগত জিজ্ঞাসা করুন, জীবনে এগিয়ে যেতে আপনার কোন নতুন দক্ষতার প্রয়োজন হবে? আপনার শিক্ষার সবচেয়ে বড় সুবিধা শুধুমাত্র আপনি যা শিখেন তা নয়, কীভাবে শিখতে হয় তা জানার মধ্যেও রয়েছে।

এবারের সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করা ৫ হাজার ৬৪৯ জন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৪ ছাত্রীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এবং ১৩ জনকে ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন