• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    উচ্চমূল্যে মাছ ডিম ও মুরগি।এবার বৃষ্টির অজুহাতে সবজির দামও বাড়াল

    কয়েকদিন ধরে মাছের বাজার। এক সপ্তাহ ধরে রেকর্ড দরে ডিম বিক্রি হচ্ছে। এবার সবজির দাম বেড়েছে। গত দুই-তিন দিনে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সবজি ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ক্ষেত থেকে সবজি তুলতে পারছেন না চাষিরা। কিছু সবজি ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে সবজির দামে।

    গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার ও হাতিরপুল কাঁচামালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া বরবটির দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। এ ছাড়া পটলের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ছাল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, কচু ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। আর মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি ২০ টাকা বৃদ্ধির পর করলা ও কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়। টমেটোর দাম বাড়তে দেখা গেছে। সালাদের উপাদান বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০ থেকে ৩০০ টাকায়। তিন দিন আগে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা দরে।

    কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী দুলাল আহমেদ বলেন, “কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে কৃষকরা সবজি তুলতে পারছেন না। মাঠে ফসল পচে যাচ্ছে। এ কারণে ঢাকার বাজারে সবজির আগমন কমে গেছে। যদি বৃষ্টি কমে সবজির সরবরাহ বাড়বে আবার দাম কমবে।

    মাছের বাজার বরাবরের মতোই। ব্যবসায়ীরা তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং চাষ করা কই ও শিং আকার ভেদে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। যথাক্রমে ৬০০ টাকা। তবে টেংরা, চিংড়ি ও পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে অস্বাভাবিক দামে। প্রতি কেজি টেংরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং বড় চিংড়ি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। এ ছাড়া পাবদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। নদীতে ইলিশ ধরা বাড়লেও দাম এখনো নাগালের বাইরে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। আর এক কেজি ইলিশের জন্য বিক্রেতারা নিচ্ছেন ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা।

    গত বছর এবার ডিমের দাম ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সে সময় প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হতো ১৫৫ টাকা দরে। তবে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে তা কমেছে। এ বছর আবারও বাড়ছে ডিম। গত বছরের রেকর্ড ভেঙে এখন ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।

    অন্যদিকে মুরগির বাজারেও চড়া দাম নির্ধারণ করা হয়। খুচরা বিক্রেতারা ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।