ঈদযাত্রায় প্লেনে ঝুঁকছেন যাত্রীরা
ঈদুল আজহায় সড়ক যানজট, ভোগান্তি, দুর্ভোগ ও ঝুঁকি এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের চাপ বাড়ছে অভ্যন্তরীণ বিমান রুটে। পবিত্র ঈদুল ফিতরসহ ছুটির দিনে অনেকেই এখন দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে বিমানে ভ্রমণ করেন। সময়ের সাথে সাথে বিমান ভ্রমণের চাহিদা বাড়ছে।
নিয়মিত বিমান চলাচলকারী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এমনিতেই সড়কে যানজট ও দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। ঈদ উপলক্ষে এর মাত্রা কয়েকগুণ। এ অবস্থায় ৬ ঘণ্টার যাত্রায় পৌঁছাতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা। এ কারণে তারা রাস্তার ঝামেলায় না গিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিমান পথ বেছে নেন। এ ছাড়া তারা অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় বিমান ভ্রমণকে অনেক বেশি নিরাপদ বলে মনে করে।
বিমান বাংলাদেশসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদুল আজহায় অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। গত ২২ জুন স্কুল-কলেজ ছুটির পর থেকে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তারা জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ করে ঢাকা-সৈয়দপুর, রাজশাহী, সিলেট ও কক্সবাজার রুটে যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ২-১টি রুটে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকা-ব্যাংকক ও মালদ্বীপ রুটে পর্যটকমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে টিকিটের দাম আগের মতোই রয়েছে। তবে যেসব যাত্রীরা ইতোমধ্যে এয়ারলাইন্সের টিকিট কিনেছেন, তারা বেশ সাশ্রয়ী মূল্যে তা পেয়েছেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে রাজশাহী রুটে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বাড়ানো হয়েছে।
নভোএয়ারের একজন কর্মকর্তা জানান, সৈয়দপুর ও রাজশাহী রুটে ফ্লাইট বাড়ানো হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী রুটে টিকিটের চাহিদা বেশি।
এয়ারলাইন্সগুলো প্রতিদিনই অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে। টিকিটের চাহিদাও বেড়েছে।