ইসলামী ফাউন্ডেশনের ডিজির সঙ্গে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মুসল্লিদের মতবিনিময়
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি আঃ ছালাম খানের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ উন্নয়ন ও মুসল্লি পরিষদের নেতৃবৃন্দ। আজ শনিবার বিকালে মসজিদের কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহাপরিচালক মসজিদের অব্যবস্থাপনা ও সমস্যার কথা মুসল্লিদের কাছ থেকে শোনেন। পরে তিনি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান। তিনি উল্লেখ করেন ফাউন্ডেশনের প্রচুর বাজেট রয়েছে কিন্তু ১৬ বছরে এ মসজিদের কোন উন্নয়ন হয়নি সেটা জানা ছিল না। এখানে যারা কর্মরত তারাও সরকারি সুবিধাভুক্ত নন। তাদের ব্যাপারেও কোন ব্যবস্থা বিগত আমলে গ্রহণ করা হয়নি। তিনি বলেন, আমি দ্রুত এখানকার অযুখানা, টয়লেট, মসজিদের রং করা, মসজিদের মেহরাবের সংস্কারসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার ঘোষণা দিচ্ছি।
মুসল্লিদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রবীন রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, খোরশেদুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, এম. এ হামিদ, আলহাজ্ব দিলশাদ আহমেদ, আব্দুল আওয়াল, জসিম উদ্দিন হিমেল, ইকবাল, ফিরোজ, আবদুস শুক্কুর, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমদ, ড. জাফর উল্লাহ, হাফেজ ছালামত উল্লাহ, শফিক আহম্মদ, মাঈনুদ্দিন মিঠু, সাহাবউদ্দিন প্রমুখ। উল্লেখ্য চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে সভাপতি ও প্রবীন রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধা একরামুল করিম কে সহ-সভাপতি এবং মো: খোরশেদুর রহমানকে সাধারন সম্পাদক করে জমিয়তুল ফালাহ উন্নয়ন ও মুসল্লি পরিষদ গঠন করা হয়।
ইয়াছিন চৌধুরী লিটন তার বক্তব্যে বলেন, বিগত পতিত সরকার ১৬ বছরে এই মসজিদের কোন উন্নয়ন করেনি। এই মসজিদের দুরাবস্থা দেখে আমরা হতাশ। রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান তৎকালীন সময়ে বিএনপি সরকারের পক্ষ থেকে মসজিদের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মসজিদের দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অযুখানা, টয়লেট ইত্যাদির অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এখানে অযু করতে এসে মানুষ আরও অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। খোরশেদুর রহমান বলেন, এই মসজিদের দ্রুত উন্নয়ন করা প্রয়োজন, না হলে এখানে মুসল্লিদের নামাজ পড়া দুরুহ হয়ে পড়বে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে চট্টগ্রামে এসে বক্তব্য শোনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বীর মুক্তিযুদ্ধা একরামুল করিম তার বক্তব্যে বলেন, আপনি ঢাকা থেকে এসে আমাদের সাথে মতবিনিময় করছেন; এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নামমাত্র এক টাকা মূল্যে বিশাল এই জায়গা মসজিদের জন্য দান করেছিলেন এবং মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিগত সময়ের সুবিধাভুগী কর্মকর্তারা ম্যাক্স নামে একটি বেসরকারি কোম্পানিকে এখানকার জায়গা নামমাত্র মূল্যে ইজারা দিয়ে মসজিদকে ধ্বংসের মুখে ফেলেছে। এই মসজিদের জমির উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় মসজিদের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। অনতিবিলম্বে ইজারা বাতিল করে ম্যাক্সকে উচ্ছেদ করা না হলে মসজিদের স্থাপনা টিকিয়ে রাখা মুসকিল হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মসজিদের খতিব মাওলানা আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ইমাম মাওলানা আহমদুল হক ও মাওলানা জালাল উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সহকারী পরিচালকবৃন্দ।