ইসলামাবাদ হাইকোর্টের পার্কিং লটে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সের পার্কিং লটে এই ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (পিআইএমএস) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানিয়েছে যে, আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাকিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন যে, এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং এই দিকটি বিবেচনা করে তদন্ত চলছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এই “আত্মঘাতী বিস্ফোরণ”-এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ইসলামাবাদ অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি শহর। বিশেষ করে হাইকোর্ট এবং জুডিশিয়াল কমপ্লেক্স এলাকা উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং বিচারকদের চলাচলের কেন্দ্রস্থল। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও, এই ধরনের হামলা পাকিস্তানের জন্য খুবই বিরল এবং উদ্বেগজনক বলে বিবেচিত হয়।
এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে, একটি নিরাপত্তা সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে যে আফগান তালেবান এবং ভারত-সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলির সাথে যুক্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি এই হামলার পিছনে থাকতে পারে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক্স-এ পোস্ট করেছেন, “পাকিস্তান এখন যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। ইসলামাবাদে এই হামলা আফগানিস্তানের সরাসরি বার্তা। এটি আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। আমি ঈশ্বরের কসম খাচ্ছি, পাকিস্তান পূর্ণ প্রতিশোধ নেবে।”
২০২১ সালে তালেবান কাবুল দখল করার পর থেকে, পাকিস্তানে টিটিপি সহ ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর অনেকেই এই হামলাকে কাবুলের “প্রতিশোধ” হিসাবে দেখছেন। একদিন আগে, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি ক্যাডেট কলেজে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল। ইসলামাবাদ জুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হামলার পূর্ণ তদন্ত চলছে।

