ইসরায়েল আবার গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে
ইসরায়েল আবার গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবর অনুযায়ী, আজ রবিবার (১৯ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইহুদিবাদী বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলি রাফাহ এবং দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলার খবর দিচ্ছে। ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ এবং সামরিক কর্মকর্তারা ফোনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক জানিয়েছে যে, হামাস যোদ্ধাদের সাথে “গোলাগুলি বিনিময়ের” পরে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে যে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় “সন্ত্রাসী কার্যকলাপের” জবাবে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে যে, রাফাহে একটি সামরিক গাড়িতে বিস্ফোরণে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন হামাস এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাম্প্রতিক অভিযোগগুলিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমেরিকা দাবি করেছে যে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে এবং ‘একটি আসন্ন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে’।
বিবৃতিতে হামাস বলেছে যে, মার্কিন বিবৃতি ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিভ্রান্তিকর প্রচারণার সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ এবং এটি ইসরায়েলের চলমান সংগঠিত অপরাধ ও আগ্রাসনের জন্য একটি রাজনৈতিক আবরণ তৈরি করে।
হামাস দাবি করেছে যে, বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল নিজেই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যা, অপহরণ, ত্রাণ ট্রাক লুট এবং সম্পত্তি চুরির সাথে জড়িত সশস্ত্র অপরাধী গোষ্ঠী গঠন, অস্ত্র সরবরাহ এবং অর্থায়ন করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, এই অপরাধে ইসরায়েলি দখলদারি বাহিনীর জড়িত থাকার বিষয়টি ইতিমধ্যেই তাদের নিজস্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং ভিডিওর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
হামাস বলেছেন যে, সাধারণ নাগরিক এবং তাদের সম্পত্তির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য গাজা পুলিশ বাহিনী এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অপরাধী গোষ্ঠীগুলিকে চিহ্নিত এবং বিচারের আওতায় আনার কাজ চলছে।
সংগঠনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য তেল আবিবকে নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতির শেষে, হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা এবং সংগঠিত আগ্রাসন ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

