আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করতে পারবেন কেবল ট্রাম্পই: সৌদি প্রিন্স তুর্কি

সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেছেন যে, ফিলিস্তিনিদের উপর ‘গণহত্যা যুদ্ধ’ বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সক্ষম।
গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আল আরাবিয়া ইংলিশের ডব্লিউ নিউজ প্রোগ্রামের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ‘স্পষ্টতই গণহত্যার একটি উদাহরণ’।
প্রিন্স তুর্কি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সাম্প্রতিক ধারাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং স্বীকৃত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এই দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে, সৌদি আরব এবং ফ্রান্স কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিলেও, এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই প্রক্রিয়ায় জড়িত হতে হবে, কারণ কেবল ওয়াশিংটনেরই ইসরায়েলকে পথ পরিবর্তন করতে বাধ্য করার ক্ষমতা রয়েছে।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হামাসকে পুরস্কৃত করছে বলে ইসরায়েলের অভিযোগের সাথে প্রিন্স তুর্কি দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বললেন যে, হামাসের আসল প্রতিদান আসে ইসরায়েলের নিপীড়ন থেকে। ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিনিদের অধিকার কেড়ে নেয় এবং তাদের দমন করে, তখন হামাস জনপ্রিয়তা লাভ করে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নয়, বরং ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডই হামাসের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে রেখেছে। এটি ইসরায়েলের ঘোষিত নীতি।
দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলার বিষয়ে মন্তব্য করে প্রিন্স তুর্কি বলেন যে, তিনি মোটেও অবাক হননি। তার ভাষায়, এটিই ইসরায়েলের আসল চেহারা – এই অঞ্চলে শান্তির সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে একটি বিশ্বাসঘাতক এবং অবিশ্বস্ত রাষ্ট্র। ইতিহাস জুড়েই ইসরায়েল এই অঞ্চলে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।