ইমরান খানের ভাগ্যে কী ঘটতে চলেছে, তা আজ জানা যাবে
রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য কি আছে জানা যাবে। দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট হতে চলেছে।
ইমরান খান শনিবার তার কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন।
অনাস্থা ভোটের ফলাফল মেনে নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, যেখানে পুরো প্রক্রিয়াটাই কলঙ্কিত সেখানে আমি কীভাবে ফলাফল মেনে নেব? গণতন্ত্র নৈতিক কর্তৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হয় – এই ষড়যন্ত্রের পরে সেই নৈতিক কর্তৃত্বের কী অবশিষ্ট থাকে? আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার এই ষড়যন্ত্র পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আমেরিকার নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ।
ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া ইমরান শনিবার রাতে একটি টেলিভিশন ভাষণে তরুণ প্রজন্মকে প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে আহ্বান জানান। ঘোষণার পরপরই শত শত তেহরিক-ই-ইনসাফ কর্মী রাস্তায় নেমে আসে।
তার দল জনমত জরিপ থেকে প্রত্যাশার চেয়ে খারাপ করেছে, যা তাদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসন লাভ করতে দেখেছে। যার ভিত্তিতে গত ২৬ মার্চ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ। ওই দিনই সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এরপর অধিবেশন ৩১ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
৩১শে মার্চ অধিবেশনে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। কিন্তু কয়েক মিনিট বিরোধীদের বিক্ষোভের পর ডেপুটি স্পিকার কাশেম সুরি রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করেন।
বিরোধী দলগুলো বলেছে তারা উপনির্বাচনে অংশ নেবে না, কিন্তু ইমরান খান পাকিস্তানের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকারকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহি করতে ইমরান তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।