• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন স্বার্থ

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত, নিরবচ্ছিন্ন, শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ রাখার বিষয়েও দুই দেশের অভিন্ন মতামত রয়েছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপের প্রাক্কালে রোববার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ ঘোষণা দেয়। আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

    মার্কিন দূতাবাস জানায়, সংলাপে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা নিয়ে আলোচনা করবেন। নিরাপত্তা সংলাপ একটি বার্ষিক বেসামরিক অনুষ্ঠান। সেখানে দুই দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এই সংলাপ দুই দেশের সরকারের মধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা সম্পর্কের অংশ।

    মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর উপ-সহকারী সেক্রেটারি মিরা রেজনিক। মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব অত্যন্ত শক্তিশালী। পারস্পরিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য বছরব্যাপী বিভিন্ন সংলাপের আয়োজন করা হয়।

    এর আগে ২৩ ও ২৪ আগস্ট ঢাকায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রতিরক্ষা সংলাপে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সামরিক সম্পর্কের সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেমন সামরিক শিক্ষা, শান্তিরক্ষা এবং আসন্ন বছরের জন্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া অনুশীলন, বিনিময় এবং আসন্ন সামরিক মহড়া।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপ-সহকারী সচিব মীরা রেসনিক আজ ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। তিনি পররাষ্ট্র দফতরের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র স্থানান্তর শাখার দেখাশোনার জন্য দায়ী। শাখাটি সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয়, তৃতীয় পক্ষের কাছে স্থানান্তর এবং উদ্বৃত্ত প্রতিরক্ষা নিবন্ধের মাধ্যমে সরকার-স্তরের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম স্থানান্তরে বছরে $40 বিলিয়নের বেশি সরবরাহ করে।