ইন্দোনেশিয়া জাহাজ কেন আটক করল জানতে চায় ইরান
ইন্দোনেশিয়া দুটি ইরানী ও পানামানিয়ান জাহাজ আটক করেছে তবে ইরান কেন তা আটক করা হয়েছে তা তত্ক্ষণাত্ তথ্য চেয়েছিল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আটকের পরই জাকার্তাকে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানাতে বলেছে।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সা ঈদ খতিবজাদেহ এ তথ্য জানিয়েছেন। আগের দিন, রবিবার জাকার্তা বলেন যে ইরানের ফ্ল্যাগশিপ এমটি হর্স এবং পানামানিয়ান ফ্ল্যাগশিপ এমটি ফ্রিয়ে তাদের পানির মধ্যে অবৈধভাবে জ্বালানী তেল পরিবহন করছে। ইন্দোনেশিয়ান কোস্টগার্ড একই দিনে দুটি জাহাজকে আটক করে।
খতিবজাদেহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে জাহাজটি আটক করা একটি “প্রযুক্তিগত সমস্যা এবং এটি শিপিংয়ের ক্ষেত্রে ঘটে”।তিনি বলেন, “আমাদের বন্দর সংস্থা এবং জাহাজের মালিক সংস্থা সমস্যার কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করছে।”
ইন্দোনেশিয়ান কোস্টগার্ডের মুখপাত্র উইসনু প্রামন্দিতা বলেছেন, কালিমন্থান প্রদেশের জলে জব্দ করা দুটি ট্যাঙ্কারকে আরও তদন্তের জন্য রিয়াউ দ্বীপ প্রদেশের বাটাম দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি জানান, দুটি জাহাজের চারদিকে তেল ছড়িয়ে পড়ছিল। এই ঘটনায় দুটি জাহাজের লোকজন লজ্জা পেয়েছিলেন।
তিনি জানান, দুটি জাহাজে ৬১ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। তাদের আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ইরানী ও চীনা নাগরিকরা রয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় তাত্ক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেননি।
রয়টার্সের মতে, রেফিনিটিভ একনের থেকে শিপিংয়ের তথ্যে দেখা গেছে যে দু’জন সুপারটানকারের প্রত্যেকেই দুই মিলিয়ন ব্যারেল তেল বহন করতে সক্ষম। দুটি জাহাজ এই মাসের শুরুতে সিঙ্গাপুরে তাদের শেষ যাত্রা করেছিল।
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে দুটি জাহাজ চিহ্নিত করা হয়। তখন দুটি জাহাজের নিজ নিজ দেশের পতাকা ছিল না। একই সাথে তারা স্বয়ংক্রিয় সনাক্তকরণ সিস্টেমটি বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি রেডিওও সাড়া দিচ্ছিল না।