• বাংলা
  • English
  • শিক্ষা

    ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সম্পূর্ণ মাস্টার প্লান তৈরি করেছে

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি সম্পূর্ণ মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুত করা হয়েছে। মাস্টার প্ল্যানে শিক্ষার্থীদের আবাসিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বড় পরিবর্তন আনবে।

    গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো:আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের সভায় মাস্টার প্ল্যান অনুমোদিত হয়।

    জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ব্যয় হয়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। এর আওতায় সংস্কারের অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ঐতিহ্যবাহী কার্জন হলটি মেরামত ও সংরক্ষণ করা হবে। বিদেশীদের অবাধ চলাচলও নিয়ন্ত্রিত হবে। এছাড়াও ড.মো: শহীদুল্লাহ হলের নান্দনিক পুকুরটি সংরক্ষণ করা হবে এবং একটি বসার জায়গা তৈরি করা হবে।

    এছাড়াও প্রযুক্তিগত ও শারীরিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসন সংকট কাটিয়ে ওঠা, বিশ্বমানের গ্রন্থাগার সুবিধা, পার্কিং, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, সবুজায়ন, খেলার মাঠের আধুনিকীকরণ, সৌরশক্তি স্থাপন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, অত্যাধুনিক জিমনেসিয়াম এবং চিকিৎসা কেন্দ্র সহ আরো আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। মাস্টার প্ল্যানের আওতায় ২৩ টি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার ও নতুন হল নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি বিল্ডিং আলাদা রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। প্রশাসনিক ভবনটি ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হবে।

    উপাচার্যের কার্যালয়টি ত্রিকণাকৃতির ভবনের মাঝখানে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের একটি অংশ ভেঙে একটি দশ তলা ভবন নির্মিত হবে। ই-লাইব্রেরির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকবে। ডাকসুর বহুতল ভবন নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে। এই ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাদুঘর স্থাপন করা হবে।

    মাস্টার পরিকল্পনার আলোকে শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাস ভেঙে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা হবে

    জয় বাংলা ‘হল এবং রাজধানীর গ্রিন রোডে ছয় একর জায়গায় একটি ছাত্রাবাস পাশাপাশি একটি বহুতল বিল্ডিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। একটি আধুনিক মার্কেটের পাশাপাশি একটি কনভেনশন হল ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে আরও দুটি ইনস্টিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

    কুদরত-এ-খুদা ছাত্রাবাস এবং অ্যাথলেট সুফিয়া কামাল হোস্টেল সংস্কার করা হবে।

    মাস্টারপ্ল্যানটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা সাইকেল প্ল্যান রয়েছে। বহিরাগত গাড়ি ও হর্নের শব্দ বন্ধ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদীর বাইরের অংশটি প্রসারিত করার, মূল প্রাঙ্গণে বিকল্প রাস্তাগুলি এবং রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করে আলাদা স্কয়ার বা প্লাজা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

    কারিগরি কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (শিক্ষা) এ এম এম মকসুদ কামাল বলেন, এটিই প্রথম এই জাতীয় পরিকল্পনা। এর বাইরে কোনও বিল্ডিং তৈরি করা যায় না। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে যানজট ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং পাঠদান ও গবেষণায় উত্সাহ বৃদ্ধি করা হবে। বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে এই মাস্টার প্লান তৈরি করা হয়েছে।

    মন্তব্য করুন