ইউক্রেন সংকট।বাইডেন পুতিনের সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী হলে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত। কিন্তু সে একা কিছু করবে না। তিনি ন্যাটো মিত্রদের কথা বলতে চান। তবে রুশ নেতা এখনো সেরকম কিছু করেননি বলে সাংবাদিকদের জানান বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন এ কথা বলেন। শীর্ষ সম্মেলনে, উভয় নেতা রাশিয়ার যুদ্ধের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানে অটল থাকার অঙ্গীকার করেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এটাও স্পষ্ট করেছেন যে তারা কখনই ইউক্রেনকে অগ্রহণযোগ্য কিছু নিয়ে আপস করার আহ্বান জানাবে না।
মাখোঁ এবং বাইডেন উভয়েই রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ করার কোনো তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নেই।
গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রধান মিত্র হয়ে উঠেছে। এই যুদ্ধ শেষ করার দায়িত্ব পুতিনের ওপর চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধ শেষ করার উপায় আছে; যুক্তিসঙ্গত উপায়। আর তা হলো, পুতিন প্রথমে ইউক্রেন থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহার করতে পারেন। কিন্তু সে তা করবে বলে মনে হয় না। আর তা করতে না পারার জন্য পুতিনকে ভারী মূল্য দিতে হচ্ছে।’
এদিকে, বাইডেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিন বলেছে যে প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে আলোচনার দরজা খোলা রেখেছেন। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, বাইডেন আলোচনায় বসতে যে শর্ত দিয়েছেন মস্কো তা মানতে প্রস্তুত নয়।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন আসলে কী বলেন? তিনি বলেন, পুতিন ইউক্রেন ছাড়ার পরই আলোচনা সম্ভব। তিনি বলেন, আমাদের স্বার্থ পূরণের সর্বোত্তম উপায় কূটনীতি। তবে রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত থাকবে।
ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আসলে বলেছেন পুতিন ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরই আলোচনা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং এটিকে অবৈধ বলে দাবি করেছে।