আসছে কোরবানি। গরম মসলার বাজারে কোনও উত্তাপ নেই
এবার গরম মসলার বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ে চাহিদার টান কিংবা দামে উত্তাপ লাগেনি। তবে চার দিন পরেই ঈদুল আজহা। দেশজুড়ে প্রতি বছর কোরবানি উপলক্ষে প্রায় কমবেশি এক কোটি পশু জবাই করা হয়। প্রায় সমস্ত মুসলিম পরিবারের রান্নাঘরের হাঁড়িতে এই পশুর মাংস রান্না করা হয়। এর জন্য, ভোজ্যতেল এবং মসলাগুলি এখনই বাজারে বিক্রি হয়। তবে সপ্তাহে বিক্রি কিছুটা বাড়লেও ক্রেতারা অন্যান্য বছরের মতো পুঁজিবাজারে তেমন সক্রিয় নন। বেশিরভাগ মসলার দামও খুব স্থিতিশীল। সমস্ত মসলার উপাদান সরবরাহও পর্যাপ্ত।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতার সংখ্যা ঈদের আগের শেষ ছুটির অনুপাতে কম ছিল। মিরপুর -১ বাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, এখনও অনেকে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। ঈদের পর টানা ১৪ দিন বন্ধ থাকবে। এ কারণে এবার কোরবানি ঢাকায় কম হতে পারে। গত বছরের তুলনায় মসলার চাহিদা অনেক কম।
কারওয়ান বাজারের মশলা বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন জানান, বছরের এই সময়টিতে সারাদিন বিক্রি করেও ফুরসত মিলত না। এবার তিনি ছুটির দিনেও অলস সময় কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, করোনার সংকট বাজারকে এলোমেলো করে তুলেছে। তবে কোরবানি উপলক্ষে মাঝামাঝি সময়ে চরম মন্দা সত্ত্বেও কিছুটা বেড়েছে।
কাওরান বাজারে জিরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, এলাচ ২২০০ থেকে ৩৬০০ টাকায়, দারচিনি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, লবঙ্গ এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, জায়ফল ৭৫০ টাকায়, সাদা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০, কালো মরিচ ৪৪০ টাকায় এবং কিশমিশ ২৫০. থেকে ৩০০ টাকা, আলু বোখারা ৫০০ টাকা, চীনা বাদাম ১০০ টাকা, আখরোট ৯০০ টাকা কেজি, কাট বাদাম ৬৫০ টাকা, কাজু বাদাম ৬০০ থেকে আটশো টাকা, পেস্তা বাদাম ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা জিরা ২২০ থেকে আড়াইশ টাকা, কেজি প্রতি মিষ্টি জিরা ১৪০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ইতোমধ্যে ভোজ্যতেলের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তবে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটারে ২ টাকা বেড়ে প্রতি লিটারে ১১৬ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যান্য তেলের দাম স্বাভাবিক।