• বাংলা
  • English
  • আন্তর্জাতিক

    আলোচনায় সর্বদলীয় সরকার

    শ্রীলঙ্কায় একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সরকার গঠনের জন্য আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, শ্রীলঙ্কার জনগণ কি এই নতুন সরকারকে মেনে নেবে? বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা ও আন্দোলনকারীরা নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান হতে পারে। এ অবস্থায় সর্বদলীয় সরকারের রূপরেখা কী হবে, তা কবে বাস্তবায়িত হবে বা আদৌ এ সরকার গঠন করা সম্ভব হবে কি না- এমন প্রশ্ন সামনে আসছে।

    জানা গেছে, শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকারে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকবেন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা গোটাবায়া রাজাপাকসের দল SLPP-এর একজন প্রতিনিধিও থাকবেন। এছাড়াও প্রধান রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি অব শ্রীলঙ্কা (সিপিএসএল), ডেমোক্রেটিক লেফট ফ্রন্ট (ডিএলএফ), লঙ্কা সামা সমাজ পার্টি (এলএসএসপি), ন্যাশনাল লিবারেশন পিপলস পার্টি (এনএলপিপি), শ্রীলঙ্কা পিপলস পার্টি (এসএলপিপি) এবং সমাজের প্রতিনিধিরা। জনা বালাওয়েগয়া (এসজেবি)ও উপস্থিত ছিলেন। এই সরকারে থাকুন। এ নিয়ে গত বুধবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যত দ্রুত সম্ভব সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়।

    শ্রীলঙ্কার সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এক নাজুক পরিস্থিতিতে এক কাতারে দাঁড়াবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তরে দেশের রাজনৈতিক বিভাজনের চিত্র দেখা জরুরি। শ্রীলঙ্কায় চলমান সংকটের জন্য রাজাপাকসে পরিবারকে দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ। তাদের অনুগত কিছু বিধায়ক ও আমলাদেরও দোষ দেওয়া হচ্ছে। তবে রাজাপাকসের দল এসএলপিপিকে পুরোপুরি দোষারোপ করা হচ্ছে না। কারণ, সঙ্কটের সময়ে দলের অনেক বিধায়ক অন্য দল বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। তাই রাজনৈতিক বিভাজন খুব একটা বড় নয়।

    শ্রীলঙ্কার খ্রিস্টান কাউন্সিল ‘জনগণের কণ্ঠস্বর’কে সম্মান জানিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, দেশটির বামপন্থী দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে। তারা বলছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমেই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে; একা গোটাবায়ার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে লড়াই শেষ হয়নি।

    ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সর্বদলীয় সরকার গঠিত হলে বর্তমান মন্ত্রিসভার সব সদস্য পদত্যাগ করবেন। যত দ্রুত সম্ভব তারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নতুন সরকারের হাতে তুলে দেবেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরাও এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।

    মন্তব্য করুন