• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    আর কথা নয়, এখন শুধু অ্যাকশন: গয়েশ্বর

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা আর কথা নয়, এখন থেকে অ্যাকশন অ্যাকশন অ্যাকশন মিডনাইট সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশে গ্রাম-গঞ্জ-শহর-বন্দরে সুর: শেখ হাসিনা সরকার ভোট চোর। এই ভোট চোরের বিরুদ্ধে জনগণের লড়াইয়ে বিএনপি নেতৃত্ব দিচ্ছে।’

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সোমবার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

    জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানস্থল পরিবর্তন করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, সাবেক জনপ্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, শাহেদ হোসেন , আলম, আবু সাঈদ চান, দেওয়ান শফিকুজ্জামান, তমিজ উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, দিলদার হোসেন, জাফর ইকবাল হিরন, আমিনুল ইসলাম বাদশা, সরকার বাদল, মোর্শেদ মিল্টন, মশিউর রহমান, নবী নেওয়াজ খান, জয়নাল আবেদীন, আতাউর রহমান আতা, আসিক চৌধুরী প্রমুখ। .

    সাবেক জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, আপনাদের নেতৃত্বে এলাকার মানুষ এখনো ঐক্যবদ্ধ। এই মানুষদের সাথে আরও ঐক্যবদ্ধ হন। নব্বই দশকের মতো গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আবারো আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করব। মধ্যরাতে সরকারকে বিদায় দেব, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, দেশবাসীকে মুক্ত করব।

    বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। মুসলিম বিশ্বের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী একবার নয়, তিনবার। তিনি পৃথকভাবে ২৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন এবং প্রতিটি আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। সেই নেতাকে নিয়ে যে ধরনের রসিকতা করা হয়—তাকে শিষ্টাচারের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তারা অসভ্য। তাদের উত্তর মৌখিকভাবে দেওয়া যাবে না।

    তিনি বলেন, আপনি আপনার সাহসে যত বেশি বিশ্বাস করবেন, নেতা-কর্মীদের নিয়ে ততই ইস্পাত ও দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলবেন। এটাই হবে আমাদের আন্দোলনের সাফল্যের চাবিকাঠি।

    গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ সরকারের জনপ্রিয়তা থমকে গেছে। এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার যদি আমাদের নীরব করে, আমাদের আন্দোলন বন্ধ করে, তাহলে আমাদের জন্মই বৃথা। আমাদের জন্ম হয়েছে সংগ্রাম করার জন্য। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সফল আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন।

    বিএনপি নেতা বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের সৈনিক, খালেদা জিয়ার সৈনিক এবং তারেক রহমানের সৈনিক। আমাদের আলাদা কোনো পরিচয় নেই; সৈন্যদের কাজ যুদ্ধ করা। আজ তারেক রহমান নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, গণতন্ত্র মুক্ত হবে।

    গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেতা আজ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তার সাথে দেখা করা যাবে না। সরকার ডাক্তারদের কথা শোনে না, আইন মেনে চলে। আবারও তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। এই সময়ে বাংলাদেশে এমন কোনো নিরপরাধ মানুষ আছে কি যার কাছে খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবেন? খালেদা জিয়া কী ভুল করেছেন, যার জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন? টাকা আত্মসাৎ হয়নি, বরং বেড়েছে বহুগুণ। এরপরও তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু হাজার হাজার, কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

    রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসকরা বলছেন- খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছে, এদেশে তার অন্য কোনো চিকিৎসা নেই। দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা অবহেলা করছেন। এ সময় রিজভী তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ জিয়া পরিবারকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন।

    মন্তব্য করুন