আমার বিজয় ছিনতাই হয়েছে, আদালতে যাব: হিরো আলম
ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ এনে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
তিনি বলেন, আমার বিজয় ছিনতাই করা হয়েছে। ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। প্রশাসন ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা ছাড়াই ফলাফল দিয়েছে। এসব কেন্দ্রে কত ভোট পেয়েছি তা আমাকে বলা হয়নি।
বগুড়ার দুটি আসনে পরাজিত হওয়ার পর বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদরের এরুলিয়ার বান্দিঘি গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আজ সারা বাংলাদেশ দেখছিল, হিরো আলমের কী হবে? আমি গর্বে ভরে গেছি। আজকের নির্বাচনে আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দিয়েছি। ভোটের ফল সবাই জানে। আমাদের নন্দীগ্রামে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়, তখন ৪৯টি কেন্দ্র ছিল। সবাই বলে তুমি পাশ করেছ। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। এত ভোট দিলাম কই? নির্বাচন কর্মকর্তারা ৩৯টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর তানসেন বাকি ১০টি কেন্দ্রে সরাসরি বিজয়ী ঘোষণা করেন। এই ১০টি কেন্দ্রে কারচুপি হয়েছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব বলেছেন, আপনারা বিজয়ী হয়েছেন। ফলাফল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছে মশালের জয় হয়েছে, এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভোট দিয়েছে। দলে নয়, ভালোবাসায় ভোট দিয়েছেন। কোথায় গেল সেই ভোট? আমি এই ফলাফল মানি না।
আলোচিত এই ইউটিউবার আরো জানান, এসব অনিয়মের বিষয়ে তিনি এখনো কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেননি। তবে ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন। আমার বিজয় ছিনতাই করা হয়েছে। প্রশাসন ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা ছাড়াই ফলাফল দিয়েছে। এসব কেন্দ্রে কত ভোট পেয়েছি তা আমাকে বলা হয়নি।
ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন হিরো আলম। কিন্তু ফলে জায়গায় জায়গায় গণ্ডগোল। ফলাফল পরিবর্তিত হয়েছে। সদরের ভোট নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। লাহেরী আমার এজেন্টকে পাড়ায় ঢুকতে দেয়নি। তানসেনের কোনো নাম-গন্ধ ছিল না। তাকে পাস করানো হয়েছে। কিছু শিক্ষিত মানুষ আমাকে গ্রহণ করতে চায় না। তারা মনে করে আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের হিরো আলমেক স্যার বলে সম্বোধন করতে লজ্জা লাগে। আমাকে জিততে দেওয়া হয়নি।
আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, একটি কেন্দ্রে মহাজোটের মশাল মার্কা ৫০০ ভোট পেলে আমার ২৮ ভোট পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি শহরে একটু আতঙ্কিত ছিলাম। এ কারণে বাসায় সংবাদ সম্মেলন করছি।
বগুড়া-৪ আসনে মশাল প্রতীকের কাছে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন হিরো আলম। তবে বগুড়া-৬ আসনে তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট।