• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    আমদানি কমাতে ৬৮ ধরনের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ

    বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় কমাতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এ ধরনের পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ৩ থেকে ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বিধি মোতাবেক প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার সাথে সাথে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    তালিকায় রয়েছে আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি, গাড়ি ও গাড়ির ইঞ্জিন, যন্ত্রাংশ, রড ও লোহার পণ্য, সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল, ফ্লাই অ্যাশ, ফলমূল, প্রসাধনী এবং কিছু দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্যের কাঁচামাল।

    এর মধ্যে কাঠ ও লোহার আসবাবপত্র এবং আসবাবের কাঁচামালের ওপর ২০ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। সিকেডি অবস্থায় ব্যক্তিগত গাড়িতে ৩০ শতাংশ; পিকআপ এবং ডাবল কেবিন পিকআপ ভ্যানগুলি ২০ শতাংশ এবং গাড়ির ইঞ্জিনগুলি ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক সাপেক্ষে৷ এছাড়া টায়ার, রিম ইত্যাদিতে ৩ থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

    এছাড়া নির্মাণসামগ্রীর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত রড, বিলেট ইত্যাদির ওপর ৩ থেকে ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। সিমেন্ট খাতের অন্যতম কাঁচামাল ফ্লাই অ্যাশ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

    অন্যদিকে, পারফিউম, চুল এবং মেক-আপ সামগ্রী, প্রসাধনী ইত্যাদির উপর ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রক শুল্ক দিতে হবে। অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, আর্গন, ফার্স্ট এইড কিট আমদানিতেও ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। ফাইবার অপটিক ও বিভিন্ন ধরনের ক্যাবলে ৩ থেকে ১০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে।

    আম, আপেল, তরমুজ, বাদামসহ বিভিন্ন ফলের ওপর ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুল্ক আরোপ করে আমদানি নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নেয় এনবিআর। এছাড়া চালের ওপর ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

    বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়ার কারণে আমদানিতে প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। দেশে ডলারের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পর্যন্ত ৫.৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।

    এ অবস্থায় সরকার নানাভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছে। বিলাস দ্রব্যের আমদানি কমাতে এলসি মার্জিন বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারি অর্থায়নে যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয় সেগুলো বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    এদিকে সরকারের অর্থ বিভাগ থেকে সার্কুলার জারি করে সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে।

    মন্তব্য করুন