দেশজুড়ে

আবাসিক হোটেল থেকে যৌনকর্মী ও প্রেমিক-প্রেমিকাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর নতুন রাস্তা এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জন মহিলা যৌনকর্মীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ভাটেরচর নতুন রাস্তা এলাকার ‘ফ্রেশ ভাটেরচর গেস্ট হাউস অ্যান্ড রেস্তোরাঁ’-এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার তমা আক্তার (২৮), জামালপুরের সাথী আক্তার (২০), পটুয়াখালীর শামীমা আক্তার (২২), গজারিয়ায় বর্ষা (১৮) এবং সুমন মিয়া (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই বাড়ির মালিক স্থানীয় রাসেল মিয়া। তবে বেশ কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জের দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাড়িটি ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নিয়মিত হোটেলে আসা-যাওয়া করতে দেখা যেত। বিশেষ করে রাতে, এই হোটেলে ছেলে-মেয়েদের অবাধে ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত। স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম কর্মী এবং পুলিশ নিশ্চিত হন যে আবাসিক হোটেলের পর্দার আড়ালে এখানে পতিতাবৃত্তি চলছে এবং তারা বিষয়টি অবহিত করেন।
পরে, আজ বিকেলে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী এবং পুলিশ সেখানে প্রবেশ করে ৩ জন মহিলা যৌনকর্মী এবং এক প্রেমিক-প্রেমিকা দম্পতিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এদিকে, গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ ভবনের প্রধান ফটকটি তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে, পুলিশ তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে। পরে ৩ জন মহিলা যৌনকর্মীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, “দিনের বেলায় আমরা এই হোটেলে খুব বেশি যানজট দেখিনি। আমরা ভাবছিলাম মানুষ না এলে হোটেল কীভাবে চলে? কিন্তু পরে আমরা বুঝতে পারি যে এখানে যৌনকর্মীদের আনা হয় এবং এখানে পতিতাবৃত্তি করা হয়। আমরা এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার চাই।”
স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা আল আমিন বলেন, ‘গজারিয়ার মাটিতে যারা এই অপকর্মের বীজ বপন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আলেম ও উলামারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্যবস্থা নেবেন। গজারিয়ার মাটিতে আমরা এই ধরনের অপকর্ম মেনে নেব না।’ এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক রাসেল মিয়ার সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ওই হোটেলে অভিযান চালিয়েছি। সেই সময় অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজন পেশাদার যৌনকর্মী এবং বাকি দুজন প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন। তাদের ২৯০ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দণ্ডবিধির।