আন্দোলন সমাপ্তি ঘোষণা।সিআরবিতে হাসপাতাল হচ্ছেনা, জাতীয় উদ্যান নির্মাণ করা হবে
চট্টগ্রামের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত সিআরবি-এর জীবন ও প্রকৃতি রক্ষায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার সফল সমাপ্তি ঘটছে। ইতিমধ্যেই সিআরবি থেকে প্রস্তাবিত হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প প্রত্যাহারের বিভিন্ন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে শনিবার বিকেলে নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম আয়োজিত মহাসম্বেষ থেকে একটি বেসরকারী ঘোষণা আসে।
বলা হচ্ছে, সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে না। এখানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে একটি জাতীয় উদ্যান নির্মাণ করা হবে। আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পলো মাঠ থেকে হাসপাতাল প্রকল্প সরিয়ে সেখানে পার্ক নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামবাসী ৪৮৩ দিন ধরে আন্দোলন করছে। সংসদ সদস্য হিসেবে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রামের যতজন সংসদ সদস্য, আমরা রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন লিখেছি। সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ না করার আবেদনে সব এমপি-মন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। সেই আবেদন নিয়ে আমরা রেলমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। এসময় তথ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। আমরা এটি হস্তান্তর করি। প্রধানমন্ত্রীও রাজি হবেন। এখানে কোনো হাসপাতাল থাকবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ফোনে বলেন, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন রেলমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়গুলো অবহিত করার পর তিনি বলেন, পরিবেশ নষ্ট করে কিছু হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে সুশীল সমাজ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক ড. অনুপম সেন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। সিআরবিতে বঙ্গ মাতার নামে বাগান করুন। আজ এখান থেকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব উদ্যানকে সিআরবি ঘোষণা করে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন, নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পায়রুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ। জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন। চৌধুরী বাবুল, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ড.মাহফুজুর রহমান, ডা.মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনূস ও বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী।