আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় আওয়ামী লীগ
সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখিয়ে চলমান পরিস্থিতি শান্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ কারণে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দেন। এই দলে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করারও নির্দেশ দেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে গণভবনে এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুতে বেশ কিছু কৌশলগত ভুল করেছে সরকার। ফলে দেশে-বিদেশে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এ অবস্থায় তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে সাবধানে পদক্ষেপ নিতে চায় দলটি। তারা কোনো উসকানিতে না গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায়।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘আমরা দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। দেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি।
তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। এরই মধ্যে তাদের দাবি অনুযায়ী কোটা সংস্কার করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরও সঠিক বিচার করা হবে। সরকার তাদের কথা শুনবে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নেই। তবে তৃতীয় পক্ষ যাতে তাদের ব্যবহার করে সুবিধা পেতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন দলীয় সভাপতি। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবেলা করতে বলেছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেউ যেন অন্যায় আচরণ না করে সে নির্দেশও দেন তিনি।
এতে দলের সভাপতি ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুর নাহার চাঁপা, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।