• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    আনসার সদস্যদের প্রত্যাহারের বিষয়ে সিসিক মেয়র বললেন কিছু কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সরকারও বিব্রত

    সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজ বাড়ির নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের হঠাৎ করে সরিয়ে নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরকারের নির্দেশে হোম সিকিউরিটি কর্মীদের প্রত্যাহার করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাহিনীর কিছু অতি উৎসাহী অফিসার দ্বারা করা হয়েছে। প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে।

    মেয়র বলেন, “আমি দেখছি, নগরবাসীর কাছ থেকে আমাকে দূরে রাখার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে, মানুষকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাকে হুমকি দিলেও আমাকে নগরবাসী থেকে দূরে রাখা যাবে না। যে কোন উপায়ে মানুষ।

    মঙ্গলবার রাতে গৃহ নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফ এসব কথা বলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বাড়িতে নিরাপত্তা দেওয়া বৈধ না হলে ৬ বছর তারা কোথায় ছিল?

    মেয়র বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাড়ির নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৬ আনসার সদস্যকে হঠাৎ করে সিলেটে সদ্য যোগদান করা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডাররা সরিয়ে দেন। মৌখিক বা লিখিতভাবে তাকে বা CCIC থেকে কাউকে কিছু জানানো হয়নি। মাসিক বেতনের বিনিময়ে ছয় বছর ধরে আনসার বাহিনীর ২৪ জন সদস্য নগরভবন ও তার (মেয়র) হাউজ অফিসসহ সিএসআইসির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মেয়র হিসেবে প্রথম মেয়াদে সরকার তাকে দুজন গানম্যান দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী মেয়াদে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। এরপর শহরবাসীর ট্যাক্সের টাকা দিয়ে মাসিক চুক্তিতে নিরাপত্তা দিতে আনসার বাহিনীর ২৪ সদস্যকে আনা হয়। তারা সিএসআইসির ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের নিরাপত্তা এবং বিভিন্ন যানবাহন ও মেশিন রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে ৬ জনকে তার বাড়িতে ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। তাদের প্রত্যাহারের কারণে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার বাড়ির পাশের অফিসে রাখা সিএসআইসির লাখ লাখ টাকার জিনিসপত্র এখন অনিরাপদ।

    নির্বাচনকে সামনে রেখে সিসিককে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, সম্প্রতি মহানগরের যেখানেই যাচ্ছি এবং যারা আমার সঙ্গে ছবি তুলছে, দেখা যাচ্ছে রাতেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে। কাউকে রিমান্ডে নিতে হবে।আমি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি।প্রশাসনের অনেক উচ্ছ্বসিত কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধিকে কীভাবে মূল্যায়ন করতে হয় তা হয়তো ভুলে গেছেন।’

    সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলার পর মেয়র আরিফ সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ভবনের দেয়ালে ফাটল ও বিভিন্ন ত্রুটি তুলে ধরে বলেন, নকশাটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ এবং এসজিএমপি করেছে। তাদের জানানো হয়েছে এবং ত্রুটি সংশোধনের জন্য নকশা সংশোধন করতে বলা হয়েছে।