আটার দাম বেড়েছে, তেল-চিনির সরবরাহ কম
আবারও বেড়েছে আটার দাম। বাজারে নতুন চালু হওয়া দুই কেজি আটার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এখন ১৪২ টাকা। আলোচনা করে কেনা হচ্ছে ১৪০ টাকায়। প্রতি কেজি আটার দাম ৭০ টাকা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আজ রোববার এমন দামে বিক্রি হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি।
সপ্তাহ দুয়েক আগে বেড়েছে আটার দাম। তখন দাম ছিল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা। ময়দার বর্ধিত দাম বাজারে আসার আগে কয়েকদিন ধরেই বাজারে ময়দার ঘাটতি ছিল। খুচরা বিক্রেতারা জানান, কোম্পানিগুলো তখন সরবরাহ কমিয়ে দেয়।
উৎপাদন ও বিপণন সংস্থাগুলো বলছে, ডলারের দাম বাড়ায় বেসরকারি পর্যায়ে গম আমদানি কমেছে। তাছাড়া গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন কমে গেছে। এ কারণে বাজারে চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ কম। আর উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
বসুন্ধরা মাল্টিফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের বিক্রয় বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. রেদোয়ানুর রহমান বলেন, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটা-ময়দার চাহিদা বেশি থাকে। এ সময় প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের চাহিদাও বেড়ে যায়। কিন্তু ডলারের বিপরীতে রুপি দুর্বল হয়েছে। এ কারণে আমদানি কম। অন্যদিকে গ্যাসের চাপ কম। ফলে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। কিন্তু কারখানার খরচ কমেনি। এসব বিষয় হিসাব করে দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন উৎপাদকরা।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে খোলা আটার দাম প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ। অন্য এক বছরে খোলা আটার দাম বেড়েছে ৭৮ শতাংশ এবং প্যাকেটজাত আটার দাম প্রায় ৫৮ শতাংশ।
তেজকুনিপাড়া এলাকার মাইন উদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক শাহপরাণ বলেন, কয়েকদিন ধরে কোম্পানিগুলো তেল, চিনি ও আটা দিচ্ছে না। এখন বাজারে এসেছে বাড়তি দামের আটা।
এদিকে রোববার বিকেলেও বাজার ও পাড়া-মহল্লার কোথাও কোথাও ভোজ্যতেলের সরবরাহ কম দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারের ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের একজন বিক্রয়কর্মী জানান, কয়েকদিন ধরে ডিলাররা কম তেল দিচ্ছেন। রবিবার তা খুব কম ছিল। ময়দার মতো দাম বাড়ায় বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়তে পারে।
গত ১ নভেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। তবে দাম বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়।