আজ মুক্তি পেতে পারেন ফখরুল-আব্বাস।আপিল বিভাগেও জামিন বহাল রয়েছে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে রোববার হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন। ফলে তাদের মুক্তিতে কোনো বাধা নেই। হাইকোর্টের রায়ে তাদের স্থায়ী জামিন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন। বিএনপি নেতাদের আইনজীবীরা জানান, এখন জামিনের আদেশের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালেই তাদের মুক্তি দেওয়া হবে।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আপিল বিভাগে বিএনপি নেতাদের জামিন বহাল রাখায় প্রমাণিত হয়েছে সরকার কখনোই আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেনি। আইন অনুযায়ী আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিচার পরিচালনা করছে।
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জামিন আদেশের কপি এখনো হাতে পাইনি। সোমবার কপি পাওয়ার পর আদালতে জামিন মুচলেকা দেওয়া হবে। এরপর কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে।
গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। এছাড়া কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে গত ৪ জানুয়ারি চেম্বার আদালত বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। আর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করতে বাধা দেওয়া হয়।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সভাকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে ৭ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে দলের নেতাকর্মীদের ‘উস্কানি দেওয়ার’ মামলায় এই দুই বিএনপি নেতাসহ ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ‘পুলিশের ওপর হামলা’।
সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও রমনা থানায় চারটি মামলা করেছে পুলিশ। এতে প্রায় তিন হাজার নেতাকে আসামি করা হয়। এজাহারে ৭২৫ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও মির্জা ফখরুল বা মির্জা আব্বাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি।