বিবিধ

আগে পেটের চিন্তা

লকডাউনের কারণে চার দিন পরে গুলিস্তানের ফুটপাতে দোকান খোলেন হকার মোহাম্মদ জনি যদিও তিনি এতে সন্তুষ্ট, তবে কড়া নিষেধাজ্ঞাগুলি আবার কখন আসবে তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। বললেন আমরা তো দিনের কামাই দিনে খাই। বাড়িতে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, অসুস্থ বাবা-মা সবাই চলে  ছোট দোকানের ওপর। মরনের আগে আমাদের  পেটের কথা ভাবতে হবে।

চলমান লকডাউনে কয়েক লাখ ফুটপাতের হকারদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। গতকাল ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছিল হকাররা ফুটপাতে সর্বত্র দোকান খুলেছে। তারা চার দিন পর দোকানটি খুলে খুশি। প্রত্যেকে কিছু না কিছু বিক্রি করেছে। তবে বিক্রয় আগের মতো নয়। তারা বলেন অনেক লোক লকডাউনের আগে বাড়ি চলে গেছে। যদি তারা ফিরে আসে এবং দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখে, ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে।

ঢাকা কলেজ গ্লোব শপিং সেন্টারের বিপরীতে হকারের সামনে মো. টিপু বলেন, ‘আমি যখন চার দিন পর দোকান খুলি তখন আবার লকডাউনের আশঙ্কায় ছিলাম। লকডাউন চলতে থাকলে আমরা বাঁচতে পারি না। আমরা লকডাউন চাই না। আমরা কাজ করে আমাদের জীবন বাঁচাতে চাই। ‘

স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে আমরা দোকান পরিচালনা করব। সরকার আমাদের এই সুযোগ দিন।

গতকাল রাজধানীর নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, মৌচাক, নয়া পল্টন, গুলিস্তান, ফার্মগেট, বায়তুল মোকাররম, পল্টন, মতিঝিল, গুলশান, বনানী, বারিধারা, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি এবং অন্যান্য স্থানে ফুটপাথের দোকানগুলি খোলা ছিল। চার দিন পরে দোকান খুলতে পেরে তারা যথেষ্ট সন্তুষ্ট। বেশ ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে কোথাও।

যদিও সরকার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয়, হকাররা নির্ধারিত সময় পরেও ক্রেতাদের বিক্রয়ের জন্য ডাকতে দেখা যায়।

মন্তব্য করুন