আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আ.লীগ রাজপথে থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, আটটি বিভাগীয় শহরে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। তারা চায় সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন না করে তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন হোক, যাতে তারা ক্ষমতায় আসতে পারে। এ লক্ষ্য পূরণে তারা আওয়ামী লীগকে বারবার চাপ দিচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। আওয়ামী লীগ জনগণের শান্তি ও জানমাল রক্ষায় রাজপথে নেমেছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকবে।
শনিবার বিকেলে আন্দরকিল্লা চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাশান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি আসলে বড় বড় কর্মসূচি ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে ঘোড়ার ডিম ফুটিয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে গিয়ে তাদের পিঠ ভেঙে যায়।
বিএনপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস জেল খেটে লাইনে এসেছেন। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগকে এখন ধাক্কা দেবেন না, আন্দোলন শুরু করবেন। কিন্তু তারা জানে না আন্দোলন কী।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। , অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বদিউল আলম, আবদুচ ছালাম প্রমুখ।
‘বিএনপি শীতের পাখি, শুধু ভোটের সময়ই দেখা যায়’ : কক্সবাজার প্রতিনিধি বলেছেন, বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাশান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি শীতের পাখি, শুধু ভোটের সময়ই এদের দেখা যায়। করোনার সময় বিএনপিকে দেখা যায়নি, তখন শুধু আওয়ামী লীগ নেতাদের দেখা গেছে মানুষের পাশে।
শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্টেডিয়ামে সপ্তাহব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব ২০২৩’-এর ৬ষ্ঠ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কামাল এমপির উদ্যোগে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ষষ্ঠ দিনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু উৎসব উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবুল শর্মা।