বিবিধ

আকাশ পথে ঈদ ভ্রমণ: দেড় মাস আগেই শেষ কম দামের টিকিট

যানজট এড়াতে অনেকেই আকাশপথে যেতে পছন্দ করেন। সময় বাঁচাতে সড়ক ও রেলের পরিবর্তে ধনী ব্যক্তিরা বিমানে যাতায়াত করেন। কিন্তু সবচেয়ে কম দামে এর টিকিট পাওয়া মুশকিল, ঈদ যাত্রায় যেন সোনার হরিণ। আসন্ন ঈদুল ফিতরের ২৩-২৪ দিন বাকি থাকলেও কম দামের টিকি পাচ্ছেন না সাধারণ যাত্রীরা। এবার এসব টিকিট দেড় থেকে দুই মাস আগে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, দেশের সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে সরকারি-বেসরকারি চারটি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এয়ারলাইন্সগুলো হলো- বিমান বাংলাদেশ, ইউএস বাংলা, নভোএয়ার এবং এয়ারঅস্ট্রা। রুটগুলো হলো: ঢাকা-সৈয়দপুর, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-যশোর, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেট এবং ঢাকা-বরিশাল। এই অভ্যন্তরীণ রুটের মধ্যে, কক্সবাজার ছাড়া অন্য রুটের টিকিটের ভাড়া সর্বনিম্ন ৩,৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা। তবে ঈদের ছুটি শুরু হতে এখনো অনেক দিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে ৩ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ কারণে একই বিমানের একই আসনের একই ফ্লাইটের টিকিট কিনতে হচ্ছে ৮ হাজার ৮০০ থেকে ৯ হাজার ৮০০ টাকায়।

যাত্রীদের অভিযোগ, এয়ারলাইন্সগুলো একচেটিয়া ব্যবসা করছে। তারা যোগসাজশ করে দামে টিকিট বিক্রি করে। বলা হচ্ছে কম দামের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে, তাই একই টিকিট বেশি দামে কিনতে হবে। এভাবে খরচ বেড়ে যাচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ। ঈদে ভ্রমণে চাহিদা বেশি থাকার সুযোগ নিচ্ছেন তারা। এটা অমানবিক। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। আরমান নামে এক যাত্রী বলেন, এয়ারলাইন্সগুলোর কোনোটিরই কম দামের টিকিট নেই। তাই বাধ্য হয়ে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে।

ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের সব দেশেই একইভাবে এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রি হয়। টিকিটগুলি সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ মূল্য পর্যন্ত কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত। এবার অনেকেই দেড় থেকে দুই মাস আগে বুকিং করায় কম দামের টিকিট ফুরিয়ে গেছে।

নভো এয়ারের হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস মেজবাহ উল ইসলাম বলেন, রমজান উপলক্ষে আমরা ভাড়া কমিয়েছি ৫০০ টাকা। তবে সবচেয়ে কম দামের টিকিট পেতে তাড়াতাড়ি আসতে হবে। পরে আরও দামে টিকেট কিনতে হবে।

মন্তব্য করুন