• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    আওয়ামী লীগের ১৪ বছরে উন্নয়ন হলেও লুটপাট বন্ধ হয়নি: মেনন

    ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আওয়ামী লীগের ১৪ বছরের শাসনামলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও লুটপাট বন্ধ হয়নি। গত ১৪ বছরে ৯ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।

    সোমবার ওয়ার্কার্স পার্টি রাজবাড়ী জেলা শাখার প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজার স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    মেনন বলেন, প্রতি বছর দেশ থেকে কানাডার বেগমপাড়ায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। তারা সরকারের আশ্রয়ে লুটপাট করে এ টাকা পাচার করছে। এগুলো আমাদের কৃষকের ঘামের টাকা, শ্রমিকের শ্রমের টাকা। এর আগে দেশে খেলাপি ছিল ২৬ হাজার। সেটা এখন দেড় লাখ।

    তিনি বলেন, দেশ আজ চরম সংকটে। দেশে দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। এখন তা ৪১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের ঘরে খাবার নেই। শিশুদের লেখাপড়া বন্ধ। কোন চিকিৎসা পাওয়া যায় না।

    ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। এসব খাত দুর্নীতিমুক্ত হলে এ সংকট সৃষ্টি হতো না। গ্যাস-বিদ্যুতের ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হলে পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদের গ্রেফতার করা হয় না। কিন্তু মাত্র ২০ হাজার টাকার জন্য গ্রেফতার হন অসহায় কৃষক।

    মেনন বলেন, দুর্নীতি আজ চরম সীমায় পৌঁছেছে। শেয়ারবাজারে দুর্নীতি, ব্যাংকে ডাকাতি। আমরা কোথাও দুর্নীতি ছাড়া কিছুই করতে পারি না। এটা বাস্তব. নভেম্বর মাসে ইসলামী ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। সরকারকে জানতে হবে। এর আগে বলা হয়েছিল ২২টি পরিবারের দুর্নীতির কথা। এখন ২২ হাজার পরিবার দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। সামনে নির্বাচন। সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যে উন্নয়ন মানুষের উপকারে আসে না তা মানুষ গ্রহণ করে না।

    রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জ্যোতিশঙ্কর ঝন্টু ও অ্যাডভোকেট বিপ্লব রায়ের সঞ্চালনায়, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আরবান আলী, মাওলা বক্স, এনায়েত আলী, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান সালাম, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন। সুশীল দত্ত তাপস, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস অ্যাডভোকেট আরব আলী প্রমুখ।

    মন্তব্য করুন