আইসক্রিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
সবার প্রিয় আইসক্রিম। বিষণ্নতার মাঝেও আইসক্রিমের একটি কামড় আপনার মেজাজ পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু আইসক্রিমের মিষ্টির জন্য যেমন অনেকেই এড়িয়ে চলেন, তেমনি ওজন বাড়ার ভয়ে অনেকেই আইসক্রিম খেতে চান না। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে আইসক্রিম খেলে ওজন না বেড়ে স্বাস্থ্যকর থাকা যায়।
অতিরিক্ত আইসক্রিম খেলে ওজন বাড়তে পারে। তবে এটি পরিমিতভাবে খেলে অনেক উপকার হবে।
আইসক্রিম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা-
শক্তি বাড়ায়: আইসক্রিম তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে। আইসক্রিম শরীরে শক্তি, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে।
প্রোটিনের উৎস: দুগ্ধজাত দ্রব্য প্রোটিনের চমৎকার উৎস। যেহেতু আইসক্রিমে প্রচুর দুধ এবং ক্রিম থাকে, তাই এটি শরীরে প্রচুর প্রোটিন সরবরাহ করে।
খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ: আইসক্রিম শুধু প্রোটিন সমৃদ্ধ নয়, এতে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, আয়োডিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ এবং বি কমপ্লেক্সের মতো খনিজ উপাদানও রয়েছে। শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে এই খনিজগুলো খুবই প্রয়োজনীয়।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: গবেষণায় দেখা গেছে যে আইসক্রিম ভালো মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে, কারণ দুধে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা সেরোটোনিন (সুখী হরমোন) নিঃসরণে সাহায্য করে।
হাড় মজবুত করে: হাড় মজবুত রাখতে ক্যালসিয়াম সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খনিজ। আর, শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। আইসক্রিম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, তাই আপনি এটি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আইসক্রিম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। আইসক্রিম গাঁজনযুক্ত খাবারের বিভাগের অন্তর্গত, যা শ্বাসযন্ত্র এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের জন্য উপকারী।