• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    আইএমএফ বাংলাদেশের সঙ্গে ঋণ নিয়ে আলোচনা শুরু করবে বলে প্রত্যাশা

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে যে তারা বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশ সরকারের ঋণ চেয়ে পাঠানো প্রস্তাবে সাড়া দিতে প্রস্তুত বহুজাতিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানটি।

    আইএমএফের একজন মুখপাত্র বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে তারা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ঋণের জন্য খাত এবং অর্থের পরিমাণ চূড়ান্ত করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন। বাংলাদেশ রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসটি) তহবিল থেকে ঋণ চেয়ে একটি চিঠি পাঠানোর এক সপ্তাহ পরে আইএমএফ একটি বিবৃতিতে তার অবস্থান আনুষ্ঠানিক করেছে। তবে সহায়তার পরিমাণ উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।

    ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার ইতিমধ্যেই মুদ্রা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, বিনিময় হার শিথিলকরণ, কম প্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি আমদানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কম জরুরি প্রকল্পে বরাদ্দ স্থগিত করে বেশি জরুরি খাতে ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে চলমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

    তাত্ক্ষণিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সময়, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলিকে যথাযথভাবে মোকাবেলা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে, আইএমএফ বলে।

    বিবৃতি অনুসারে, তারা এই ধরনের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সহায়তা করার জন্য আরএসটি তহবিল গঠন করেছে এবং বাংলাদেশও এই তহবিল থেকে অর্থ পেতে পারে। আর এই তহবিল থেকে ঋণ পেতে আইএমএফ-সমর্থিত প্রকল্প নিতে হবে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, আইএমএফ বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিতে প্রস্তুত। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য আরএসটি তহবিল সক্রিয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবং এই সময়ে আইএমএফ কর্মীরা প্রকল্পটি চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে।

    এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন মাসে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। এতে বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়েছে। চলতি হিসাবের ঘাটতি ১৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

    মন্তব্য করুন