জাতীয়

অর্থ পাচারের সুযোগ মন্দের ভালো: আইসিএমএবি

দেশে অর্থ ফেরত আনার সুযোগকে অশুভ বলে মনে করছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণ করে এ পর্যবেক্ষণ দেয় সংগঠনটি। আইসিএমএবি সভাপতি মো. মামুনুর রশীদ বলেন, “পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। তবে আমরা মনে করি এই সুযোগ মন্দের ভালো।”

রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আরও বক্তব্য রাখেন আইসিএমএবি সহ-সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম, সম্পাদক একেএম কামরুজ্জামান ও কোষাধ্যক্ষ মো. আলী হায়দার চৌধুরী। শফিকুল আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সিইও শফিকুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক ও ঢাকা শাখা কাউন্সিলের কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বাজেটের ওপর উপস্থাপনা করেন।

মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, সব মিলিয়ে বাজেট ভালো হয়েছে। বাজেট শর্তসাপেক্ষ হলেও করপোরেট ট্যাক্স কমানো ইতিবাচক। যাইহোক, ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য কর-মুক্ত আয়ের সীমা হল ৪ লক্ষ টাকা এবং 65 বছরের বেশি করদাতাদের জন্য, এটি ৫ লক্ষ টাকা হতে হবে। যেহেতু বাজেট এখনো পাস হয়নি, তাই সরকার চাইলে করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ভ্যাট আইনকে আরও বাস্তবসম্মত ও ব্যবসাবান্ধব করতে এ বছর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও, একজনের মালিকানা এখনও গড় ব্যক্তির নাগালের বাইরে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ছয় লাখ ছয় হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ। এখন অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খরচ কমাতে সরকার এসব প্রকল্পে পেশাদার হিসাবরক্ষক নিয়োগ করতে পারে। হিসাবরক্ষক কোম্পানির অডিট করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে খরচ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে, সর্বস্তরে স্বচ্ছতা আসবে। আবার রাজস্বও বাড়বে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে না বলে মনে করেন তারা।

তারা আরও জানান, অনেক মধ্যস্বত্বভোগী পাইকারি ব্যবসা করেন। তারা সাধারণত কম লাভে বড় অঙ্কের লেনদেন করে। এগুলোকে বাস্তবসম্মত হারে করের আওতায় আনতে হবে। এতে ভ্যাট খাতে রাজস্ব বাড়বে। ভ্যাট ব্যবস্থা আরও বাস্তবসম্মত হবে।

মন্তব্য করুন