অর্থ আত্মসাৎ।সোনালী ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে ৮ বছর কারাদণ্ড
দুর্নীতির মামলায় বুধবার সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত তিন কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ১৯৯৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য মানুষের নামে ভুয়া কৃষি ঋণ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ফেরদৌস আলম, শাখার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতার হোসেন এবং সাবেক ব্যবস্থাপক ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এসএম মোশাররফ হোসেন। ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফরিদপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তাদের সাজা দেওয়া হয়। দুদকের পিপি নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
অন্য ধারায়, প্রত্যেককে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে এক মাসের বিনা প্যারোলে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। অন্য ধারায় তাদের আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও এক মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায়ে বলা হয়, আসামিদের সব সাজা একসঙ্গে গণনা করা হবে। তাদের আটক সাজা থেকে কেটে নেওয়া হবে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে দুদকের সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানায় মামলাটি করেন।