অবৈধ মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
যারা অবৈধভাবে পণ্য মজুদ করে বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জার্মানির মিউনিখে তিন দিনের সফর নিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর এটাই তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে একসময় অভাব ছিল, আর এখন যা বলা হচ্ছে, তেলের দাম, পেঁয়াজের দাম, গরুর মাংসের দাম, এটা কি পরিবর্তন নয়? পনেরো বছরের এই পরিবর্তনটা আসছে, সেটা তো স্বীকার করবেন। পনেরো বছর আগে কি ছিল ভাতের হাহাকার, নুন ভাত, ভাতের ফেন ভিক্ষা চাইত। এখন তো আর এগুলো নেই। শেখ হাসিনা বলেন, যারা এই নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল, তারা যখন দেখল নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।
তখন চক্রান্ত হলো জিনিসপত্রের দাম বাড়ালে সরকারকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে। আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করবে। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ। আমাদের সকল প্রচেষ্টা, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকে, বিশ্বজুড়ে নিষেধাজ্ঞা, পণ্য পরিবহনে বিঘ্ন, আমি বলে আসছি – আমাদের নিজেদের খাবার তৈরি করতে হবে। এক ইঞ্চি জায়গা খালি থাকা উচিত নয়। এভাবে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কোনো অভাব হবে না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রমজানে কোনো কিছুরই অভাব হবে না। ইতিমধ্যেই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন সমস্যা হবে না। ছোলা, খেজুর, চিনিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং, এটি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ আমরা এরই মধ্যে ব্যবস্থা করে রেখেছি।