অবশেষে স্থায়ী ঠিকানা পেল আসপিয়া
পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে কাজ করার পর আসপিয়া ইসলামের স্থায়ী ঠিকানাও নিশ্চিত হয়। বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত জমির দলিলপত্র ও বাড়ির চাবি আসপিয়ার মা ঝর্ণা বেগমের হাতে তুলে দেন।
এ সময় বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন হায়দার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ, উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নবনির্মিত বাড়ির উঠোনে দলিল ও চাবি হস্তান্তরের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নতুন বাড়ির চাবি পাওয়ার পর আসপিয়ার মা ঝর্ণা বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এর আগে ২৫ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেনের পক্ষে হিজলা থানার উপ-পরিদর্শক মো. পুলিশ কনস্টেবল পদে কলেজ ছাত্রী আসপিয়া ইসলামের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন মিজান। রংপুরে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন আসপিয়া।
হিজলা উপজেলার মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে আসপিয়া কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বরিশাল জেলার মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। তাকে চূড়ান্ত নিয়োগপত্র দেওয়ার আগে পুলিশি তদন্তে জানা যায় তার পরিবার হিজলা উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা নয়। প্রজা. তাদের স্থায়ী নিবাস ভোলা জেলার চর ফ্যাশন উপজেলায়। তবে আসপিয়ার জন্ম ও শিক্ষা সবই হিজলায়। চাকরির আবেদনপত্রে তার স্থায়ী ঠিকানা হিজলা উপজেলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে আইনি জটিলতায় তার নিয়োগপত্র আটকে যায়। আসপিয়া পুলিশ রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা হলে তিনি সহানুভূতি প্রকাশ করলেও আইনের কারণে নিয়োগপত্র জমা দিতে পারেননি বলে জানান।
গত ১০ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নজরে আসে। সেখান থেকে স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে হিজলায় খাস জমি থেকে আছপিয়ার পরিবারকে জমি ও বাড়ি বরাদ্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।