• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    অবরোধ: ঢাকা-গাজীপুরে ৫ বাসে আগুন

    বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফার অবরোধের প্রথম দিনে ঢাকা ও গাজীপুরে এ পর্যন্ত পাঁচটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিটি বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর এবং রাজধানীর তাঁতীবাজার, কাকলী, ডেমরা ও জিগাতলায় এসব ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে।

    গাজীপুরের শ্রীপুরে আজ সন্ধ্যা ৬টা ৮ মিনিটে শর্মিলী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কারা আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ফায়ার সার্ভিস।

    সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে অবরোধকারীরা বিমান পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাকে বংশাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    এর কিছুক্ষণ পর রাত ৮টার দিকে বনানী এলাকায় কাকলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি মিনিবাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে যায়।

    এছাড়া রাজধানীর ডেমরা এলাকায় রাইদা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। আর সর্বশেষ রাত সাড়ে ৯টার দিকে জিগাতলা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গেটের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।

    এর আগে অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন সোমবার (৬ নভেম্বর) অবরোধ কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগে ফায়ার সার্ভিসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা দুই দফায় মোট ২১টি অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবেদন পেয়েছেন। রবিবার ভোর ৪টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

    এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১২টি, ঢাকা বিভাগে (গাজীপুর, কালিয়াকৈর, নারায়ণগঞ্জ) ৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে (খাগড়াছড়ি, আনোয়ারা, পটিয়া) ৪টি এবং রাজশাহী বিভাগে (বগুড়া) একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়ে যায় ১৫টি বাস, ২টি ট্রাক, ১টি প্রাইভেটকার, ১টি সিএনজি অটোরিকশা ও ১টি লেগুনা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৪১টি ইউনিট এবং ২৪২টি ফায়ার ফাইটার এই ২১টি আগুন নেভাতে কাজ করেছে।

    ধর্মঘট-অবরোধে শুধু পরিবহন মালিকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, শ্রমিকরাও ক্ষতির মুখে পড়ছেন জানিয়ে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বারবার ধর্মঘট-অবরোধ দিলে পরিবহন খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে তিনি নিরুৎসাহিত করেছেন।