অপারেশন ডেভিল হান্ট,ডিবির হাতে গ্রেফতার সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
রাজধানীর লালমনিরহাট থেকে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শ্যামল ও তার সহযোগী কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাতে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের ওসি সাদ আহমেদের নেতৃত্বে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের অংশ হিসেবে খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ ০২ এবং ধানমন্ডি থানার সোবাহানবাগে অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৫ আগস্ট থেকে আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল ও তার এক সহযোগী কামরুল বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারকে পুনর্বাসনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফেসবুক গ্রুপ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ, ইউটিউব চ্যানেল এবং জুম প্ল্যাটফর্মের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হয়ে তারা বর্তমান বৈধ সরকারকে হটিয়ে পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা বর্তমান বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ সৃষ্টি এমনকি জনমনে উত্তেজনা সৃষ্টির অভিপ্রায়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাদের কর্মী বাহিনীকে সংগঠিত করছে।
আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল (৪০) হাতীবান্ধা উপজেলার গুড্ডিমারী ইউনিয়নের আতিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানা ও আরএমপি কোতয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার সহযোগী কামরুল হাসান (৩০) নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং জয় বাংলা ব্রিগেডের সক্রিয় সদস্য। কামরুল লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম আঙ্গরপোতা সরদার পাড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ ০২ ও ধানমন্ডি থানার সোবাহানবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত শ্যামল ও তার সহযোগীরা গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারকে পুনর্বাসনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। তাদের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Do follow: greenbnaglaonline24