অনিয়মের সঙ্গে জড়িত পাঁচ মানিচেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।৪২টি শোকজ
ডলারের অস্বাভাবিক হার বৃদ্ধি ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। অন্যদিকে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৪২ জন মানিচেঞ্জারকে জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট মানি চেঞ্জারসহ খোলাবাজারে ডলারের দাম ১১২ টাকায় ওঠার পর বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারণ অনুসন্ধান শুরু করে। প্রতিদিনই বিভিন্ন মানি চেঞ্জারের সঙ্গে দেখা করছেন তারা। এরপর খোলাবাজারে ডলারের দাম কিছুটা কমছে। গতকাল খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা দরে। একজন মানি চেঞ্জারের বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, নগদ ডলারের দাম কমেছে। আর ডলার বিক্রিও অনেক কম। মানিচেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি একেএম ইসমাইল হক সোমবার বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ের কার্যক্রম শেষে ডলারের বাজার স্থিতিশীল হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও বলেন, মানি চেঞ্জারদের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও পরিদর্শন করা হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে বিভিন্ন ব্যাংকের লেনদেনের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। সেখানে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলারের কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে আমদানি কমাতে নানা শর্ত দেওয়া হয়েছে। এখন ৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। সেখানে যে কোনো অপ্রয়োজনীয় এলসি পাওয়া গেলে তা ব্লক করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে গত জুনের তুলনায় জুলাই মাসে উল্লেখযোগ্য হারে এলসি কমেছে। এর বাইরে রেমিটেন্স ও রপ্তানি বেড়েছে।