অনলাইন থেকে তারেক রহমানের সব বক্তব্য সরানোর নির্দেশ
দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম।
এদিকে হাইকোর্টের এই বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা।
অনলাইন থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য মুছে ফেলার আদেশকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের আদালত কক্ষে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল, হাঙ্গামা ও মৌখিক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আদালতে অচলাবস্থা দেখা দেয়। একপর্যায়ে বিচারক আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে ব্যক্তিগত কক্ষে চলে যান। বিচারক চলে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ‘শেম শেম’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল ১১:১৩) শতাধিক বিএনপিপন্থী আইনজীবী আদালত কক্ষে অবস্থান করছিলেন। আদালতের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ২২শে আগস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য নিষিদ্ধের রায়ের শুনানি কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাছে রুল জারি করেন। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচারে নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
ওই রুলের শুনানির জন্য আট বছর পর হাইকোর্টে আবেদন করেন আবেদনকারী। কিন্তু তারেক রহমানের ঠিকানা ভুল থাকায় নোটিশটি যথাযথভাবে জারি করা হয়নি। এ কারণে হাইকোর্ট ঠিকানা সংশোধন করে পুনরায় আবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তারেক রহমানের ঠিকানা সংশোধন করে নোটিশ জারির নির্দেশ দেন আদালত।